আমাকে কী দেউলিয়া ঘোষণা করা যায়?
দৈন্যের দায়ে ধুকে ধুকে হায়,
আমি যে আজ বড় অসহায়।
জীবনটা আজ এক গ্লানি, কত শত পেরেশানি
হৃদয়টারে রাতে দিনে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়।
মাথায় ঋণের বোঝা, হতে পারিনা সোজা
ছেয়ে গেছে হৃদয় বিশাদ বিবর্ণ তায়।
আশা হত হৃদয়টা আজ ভুগছে হীনমন্যতায়।
বেড়ে গেছে সংকীর্ণতা,
এলোমেলো সব পরিকল্পনা
যেন আমি চলছি উজানে,
আর সব চলছে ভাটায়।
আমি যেন এক অন্ধ পথিক-চলছি উদ্দেশ্য হীন
বুঝতে পারছিনা কখন হয় রাত,
আর কখনই বা হয় দিন।
কাজে পাই না গতি, সব সময় চলে অস্বস্তি
নেই কোন আনন্দ, পাই না কিছুতে ছন্দ
মরে গেছে যেন অনুভূতি, সাথে সংসারের স্থিতি।
পাওনাদারের দম্ভোক্তি চলছে রাতদিন,
যেন এ এক অজানা পৃথিবী
আর আমি এক অচেনা মানুষ,
অসহায় স্তব্ধ, বাক শক্তিহীন।
কখনো কখনো থাকতে হয় উপোষ
বোঝাবো কারে সৃষ্টিকর্তাই যেন নাখোশ,
অর্ধভূক্ত সন্তানের বিবর্ণ চাহনি
বিবির রুক্ষ শুষ্ক চুল, ভাষাহীন বেদনা,
পুরাতন বিবর্ণ শাড়ি -
দেখে দেখে আজ ক্লান্ত আমি,
হৃদয়টা আজ ক্ষতবিক্ষত- মর্মাহত আমি।
আপনজন যারা আজ দুরে দুরে তারা,
সম্পর্কে টানাপোড়ন চলছে নানান ছুতোয়,
দয়াবান কেইবা তাদের তো আছে সীমাবদ্ধতা;
হৃদয়টা আমার হায় সব হারানোর বেদনায়
ক্ষনে ক্ষনে আর্তনাদ করে উঠে,
দুমড়ে মুষড়ে যায়।
জেকে বসেছে দেহে আগাম বার্ধক্য-,
চলে না দেহটা আর আগের গতি ধারায়,
ধুকে ধুকে চলছে কোনভাবে
প্রায় বিনা চিকিৎসায়।
ভাল থাকার সব প্রচেষ্টাই যে শেষ করেছি
একটা মাত্র ভুল পরিকল্পনায়,
আজ শুধু বেঁচে আছি, বেচে থাকার ইচ্ছায়।
চলছি ক্ষণ গুনে গুনে অসহ্য যন্ত্রনায়;
মুক্তি চাই- আজ একটু মুক্তি চাই,
আমাকে কি মুক্তি দেওয়া যায়?
আমার নামটা কি লিখা যায় দেউলিয়ার পাতায়?