শব্দ সাজাই মাথার ভিতর, কাগজ-কলম টেনে, লেখা
হয়ে ওঠে না। হয়তো সবকিছু নিয়তি। সে বড়োই
নিষ্ঠুর! মন যা চায় তা হতে দেয় না। তাই হয়তো
লেখাও হয়ে ওঠে না। প্রতিবাদ করি না আমিও
নিয়তির সঙ্গে। মনের ভিতরের সাজানো শব্দগুলো
পাথর চাপা দিয়ে রেখে দেই নীরবে। গোপনই থেকে
যায় আমার একান্ত গোপন ইচ্ছাগুলো।
চোখের সামনে প্রায়শই ভেসে ওঠে প্রিয় মুখগুলো।
এক জনমে; না, ভুল বললাম- এক জনমে নয়,
জন্ম-জন্মান্তরে যারা আমার স্বজন তাদের। হলুদ
রোদে পুড়তে পুড়তে ক্লান্ত শরীর যখন একটু শান্তির
আশায় আশ্রয় খুঁজে ধুলিমাখা বিষন্ন বিকালে; ঠিক
তখন মনে পড়ে সেই স্বজনদের। ছুটে যেতে ইচ্ছা করে
তাদের কাছে। মাঝে মাঝে ছুটেও যাই। বড়ো সাধ হয়
একটু ছুঁয়ে দেখি। সাহস হয় না। ভুল বুঝে যদি।
চিনচিন কষ্ট কাঁপে বুকের ভিতরে। হু হু করে ওঠে মন।
অজান্তেই পাথর চাপা পড়ে যায় ইচ্ছাগুলো; অহর্নিশ!
পাথর চাপা ইচ্ছাগুলো এখন আর স্বপ্ন দেখে না। টু
শব্দটিও করে না। শুধু নীরবে চেয়ে থাকে দূরে; বহু
দূরে। যেখানে দিগন্ত মেশে আকাশে।