দিন তারিখ মাস সময়টা
ঠিক মনে নেই। প্রান্তিক চত্বর!
শুধু মনে আছে সেই প্রান্তিক
চত্বর। অনুষ্ঠান ছিলো একটা
আর
জম্পেশ আড্ডা। দেখিনি আমি
তোমায়, তাকাইনি, তোমার দিকে
অথবা ছিলোনা কোন ফুরসত;
হয়তো
তুমি তাকিয়ে ছিলে অপলক।
হঠাৎ! কানে এলো কেউ
একজন বলছেন- পুড়বি তুই এ
অনলে!
অনুষ্ঠান শেষ। ফিরে যাচ্ছিলাম যখন,
আপনি কিন্তু আসবেন বলেছিলে তুমি-
কোথায়?
কোথায় আবার, বাসায়; আমাদের ওখানে।
হেয়ালি করেই বলেছিলাম-
আচ্ছা!
কুকুর বিড়ালের ঝগড়া চলছে
দুপুর থেকে। সঙ্গী ধূঁমায়িত চা
বারান্দায় বসে উপভোগ করছি
দারুণ! উপভোগ্য কুকুর-বিড়াল
ঝগড়া; হৃদ শীতল হাওয়া, ভেজা
মাটির সোঁদা গন্ধ, আবেশ করা।
কতক্ষণ?
সেটাও ঠিক মনে নাই। মুঠো ফোনের শব্দ
কাটে আবেশ; তাড়াতাড়ি আসুন
দাদা, আজ বিস্কুটের কারখানায় যাবো
আপনাকে নিয়ে, আমি নিচে আছি,
দেরী করবেনা প্লিজ দাদা।
আমি; নামলাম নিচে
আমি!
দিবাবসান ছুঁই ছুঁই, চা বাগান
এয়ারপোর্টের রাস্তা, প্রবাহমান ঝর্ণা
থেমে গেলো গাড়ী, কুকুর-বিড়াল ঝগড়া
চলছে তখনও, প্রায় কাক ভেজা;
আমরা নামলাম তুমি দাঁড়িয়ে বারান্দায়,
আপনাদের অপেক্ষায় আছি সেই কখন
থেকে; অনেকটা বিরক্ত ভিতরে
মেজাজটাও খারাপ, কোথায় কারখানা?
এতো বৈঠকখানা, দেয়া হলো; গাত্রমার্জনী,
মাথা মোছতে মোছতে হঠাৎ! নজর
নাস্তার টেবিলে ও মা! এ যেন পসরা,
সুবিন্যস্ত নানান রকমের বিস্কুট;
আহ্বান নাস্তার টেবিলে,
বললাম-কারখানা কোথায়?
তাকিয়ে ছিলে শুধু তুমি বিস্ময়!
অবাক বিস্ময়ে!
অনবরত চলেছে, কুকুর-বিড়াল ঝগড়া
অনেক কথা অনেক গল্প; এবার
ফেরার পালা। সদর দরজা
একটি চিরকুট, কাঁপা হাত,
কাঁপা কাঁপা কন্ঠ; তুমি বললে
বাড়ী পৌঁছে ফোন দিবেন প্লিজ!
এই প্রথম;
তাকালাম তোমার দিকে সেভাবে,
চোখের কোণে জল চিকচিক;
দেখতে পেলাম
অনলে পোড়ার ছবি,
তুমি পড়েছো অনলে
পুড়ছো সে অনলে, পুড়তে থাকবে;
আনন্তর্য!
অনলে বিরহ!
অনলে সুখ!