নীলাকাশ!
ছেঁড়া ছেঁড়া সাদা-ধূসর মেঘের
আনাগোনা, সারাক্ষণ! ভেসে বেড়ায়
সুনীল দিগন্তে। ভাসতে ভাসতে জড়ো
হয় আকাশের কোণে, বিচিত্র! রূপে, পাগলা
হাওয়ার মাতামাতি, এলোমেলো, পরক্ষণেই
সব এলোমেলো। টুকরো, টুকরো, ছড়িয়ে পড়ে
সারা আকাশ-
প্রতিচ্ছবি!
পড়ে তোমার গায়ে, জড়িয়ে নাও ভাবাবেশে
দিবা-রাত্রি-
বাইন, কেরবা গুলার দল
বেড়ে ওঠে, মাথা করে উচু
করে সুধা পান। শালিকের
ঝাঁক, বলাকার মেলা, ধবল
রঙে লবণের ক্ষেত
অপরূপ শোভা!
সাগর কাছে আসে পূর্ণ জোয়ারে
ছুঁটো তুমি ভাটার টানে।
জোয়ারে উচ্ছ্বাস! বিমর্ষ! ভাটায়
এমন রূপে হতে রাজী অঘরী,
নিত্য যেথা চলে এমন প্রেম তরী।
কুহেলিয়া! তুমি
অনবদ্য প্রেম, ভালো লাগা,
ভালোবাসা!

(কুহেলিয়া!
স্থানীয়দের কাছে “কুহেলিয়া নদী” নামে পরিচিত লোনাপানির এই খাল। ‘কুহেলিয়া নদীর’ পশ্চিম পাশে মাতারবাড়ী ও ধলঘাট ইউনিয়ন।
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া থেকে শুরু হয়ে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী-ধলঘাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার জুড়ে লোনাপানির এই নদী প্রবাহিত হয়ে বঙ্গপোসাগরে পড়েছে।)