হে যুবক, কে তুমি ?
পিচঢালা কালো পথ পেরিয়ে
বিস্তীর্ণ মাঠের কিনারে
অবারিত সুনীল আকাশের ছায়াতলে
নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছো
শ্যামল ঘাসের চাদরে !
যুবক, তুমি কে ?
হাত দুটো বাঁধা পেছনে
চুলগুলো কেমন এলোমেলো
আধবুজা চোখের তারাগুলো
ঝলমলে এখনও ।
ঠোঁট দুটো রক্তে ভেজা
আঘাতের চিহ্ন নেই কোথাও !
খুঁজে খুঁজে অবশেষে পাওয়া গেল
বাম পাঁজর ভেদ করা
ঘাতক বুলেটের গভীর স্পর্শ !
পেছনটা ফুটো করে বেরোয়নি সে ।
ক্ষণিক পরেই বুঝা গেল...
মৃত্যুদূত ছিন্নভিন্ন করেছে
তার পুরো হৃদয়টারে ।
তুমি কি সেই ?
সেদিন মহল্লায় ঢুকে
কোন এক টগবগে যুবক দেখে
আচমকা থেমে যায় যমকালো মাইক্রো বাস,
ভেতর থেকে সদম্ভে নেমে আসে
উর্দি পরা কিছু উদ্ধত আগন্তুক ।
টেনে-হিচড়ে যুবককে তুলে নেয়
সেই গাড়িতে !
তারপর সবেগে উধাও...
বলো, তুমি কি সেই যুবক ?
যার ঘরে ফেরার কথা ছিল
সাঁঝের বেলা,
যার অপেক্ষায় দুয়ার মেলে বসে আছে
অশীতিপর জন্মদায়িণী মা,
হয়তো জানালা খুলে
দূর দিগন্তে উদাস চোখ মেলেছে
তার নবপরিণীতা ।
তুমি কি সেই যুবক ?