ভাবছি,
এবার আমার বিকেলটাকে নিলামে তুলবো আমি,
ঠিকঠাক মানুষ যদি মিলে যায়,
তার জন্যে সময়টাকে উৎসর্গ করে দেবো নির্দ্বিধায়।
তারপর সারাদিনের কাজ শেষে তার ঘরে ফেরার অপেক্ষায় ব্যাকুল সময় কাটাবো আমি,
নিজেকে নান্দনিক সাজে সাজিয়ে বারবার আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াবো।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে অনিমেষ তাকিয়ে থাকবো তার ফেরার পথে,
চট করে ছুটে যাবো আমার শখের রসুই ঘরে,
সেখানে তার পছন্দের খাবার তৈরি হবে।
জুতা খুলে ঘরে পরার চপ্পল, লুঙ্গি, টাওয়েল, টিশার্ট,
সব কিছুতেই থাকবে আমার প্রাণবন্ত খেয়াল।
ব্যস্ত সময়ে হঠাৎ বেজে ওঠা কলিং বেলের শব্দে আমি পুলকিত হবো,
আটপৌরে সুতি শাড়ির আঁচল টেনে দরজা খুলে দাঁড়াবো তার সম্মুখে,
ঠোঁটের কোণে হাসি রেখে হাত বাড়িয়ে হাতে নেবো লাঞ্চ বক্স, ব্যাগ ইত্যাদি,
সত্যিই এবার আমার বিষন্ন বিকেলটাকে নিলামে তুলবো আমি।
ভাবছি এবার,
সকালটাকেও বিকিয়ে দেবো কারো কাছে,
বিনিময়ে অর্থ নয়, বেছে নেবো ব্যস্ততাকে।
লাজে রাঙা ভানুকে সাদর সম্ভাষণ জানাতে
তার আগেই জেগে উঠবো আমি, ছাড়বো বিছানার উষ্ণতা,
আমার নিঃশ্বাস অথবা হেঁটে চলায় থাকবে নিশ্ছিদ্র নীরবতা।
পাছে সময়ের আগেই তার ঘুম ভেঙে যায়,
আমি থাকবো এই উৎকণ্ঠায়।
তারপর সোজা আমার ইচ্ছে রান্নার হেঁসেলে।
আদর্শ গৃহিণীর মতো মমতার ছোঁয়ায়
বানিয়ে নেবো তার সকাল দুপুরের খাবার।
পরিপাটি সাজিয়ে দেবো তাকে,
গুছিয়ে দেবো ঘড়ি, চশমা,রুমাল আর ওয়ালেট,
চার্জে বসানো ফোনটাও মনে করে তুলে দেবো
তার হাতে।
তার মঙ্গল কামনায় আমার হেলেদুলে হেঁটে চলা সময় যখন মধ্যাহ্নে,
খাবার খেয়েছে কিনা জেনে নেবো ফোনে।
তারপর আবার অপেক্ষা,
অপেক্ষা তার ঘরে ফেরার,
সত্যিই আমি আমার নির্লিপ্ত সকালটা বিকিয়ে দেবো এবার।
ঠিকঠাক মানুষ যদি মিলে যায়,
তার জন্যে সময়গুলো উৎসর্গ করে দেবো নির্দ্বিধায়।