তোমায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে যে কাল কেটেছে আমার-আমি ভুলিনি সে কালের কথা,
হৃদয় সন্তর্পণে তুমি আজো আছো যতনে,হারিয়েছে কেবল হরিণী চঞ্চলতা ।
কতদিন কতবার আছড়ে পড়েছি তোমার বক্ষদেশে,
আপ্লুত হয়েছি তোমার মায়াবী মমতা আবেশে ।
তোমার দুয়ারে যতবার যত চেয়েছি-তুমি উজাড় করে দিয়েছ,
অবুঝ মনে ছোট ছোট খুশীর, অনাবিল ঢেউ তুলেছ ।
ভূবন মোহিনী রূপে কতবার কত রূপ নিয়েছ তুমি,
চেয়ে চেয়ে দেখেছি আর বিস্মিত হয়েছি আমি ।
তুমি কত জনে দিয়েছ ঠাঁই-
তোমার অসীম বিশালতায়,
কখনো বণিক কখনো শ্রমিক-কর্ম ব্যস্ততার অবসরে আশ্রিত হয়েছে তোমার বাক্ হীন নীরবতায় ।
আমি নির্বাক নয়নে শুধুই দেখেছি চেয়ে,
নব নব কৃষ্টি কালচারে আমি সেই তখনই আচ্ছন্নতায় গেছি ছেয়ে ।
আমি পলকে পলকে হয়েছি পুলকিত,
কোথা পাও এত প্রাণ;এত যে ছুটে চল অবিরত !
তোমার মমতাময়ী রূপে যখন আকন্ঠ নিমজ্জিত,
তুমি হঠাত করে বদলে নিলে রূপ-রাক্ষুসী রূপে নিজেকে করলে উজ্জীবিত ।
তোমার রাক্ষুসে ছোবলে শ্যামল সবুজ ছায়া ঘেরা পল্লী ধরা নিমিষেই ধূলিসাত্,
এ কেমন সাধ গো তোমার;
এ কেমন সাধ !
তুমি একূল ভেঙ্গে ওকূল গড়
নিখুঁত কারিগর ,
ভাসিয়ে কোথাও জাগিয়ে তোল ধু ধু তেপান্তর ।
তোমার ধূলিশয্যা মৃত্তিকা বুকে দুলতে দেখেছি কত গুল্ম,
ভাল লাগা স্রোতে গা ভাসিয়ে আমি সার্থক করেছি জন্ম ।
বাস্তবতার অক্টোপাসে শৃঙ্খলিত সময়ের ব্যবধানে আমার বিস্মৃত স্মৃতিদের ভিড়ে,
আমি আজ আবার এসে দাঁড়িয়েছি তোমার তীরে ।
তোমার কলকল ধ্বণিতে আজ আবার নতুন করে খুঁজবো;সুর তাল লয়ের সমাহারে সুমধুর সুরমূর্ছনা,
তুমি আমার মন উঠোনে প্রেম বপনে শুভ সূচণা ।
তুমি পদ্মা আমার-চির চেনা,
রূপসী ললনা ।