পঞ্চাশ পেরুনো সময়ের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে
যে রমণী এখনো আকাশের নীলে
মাধুর্য খুঁজে বেড়ায়,
এখনো যে রমণী সুযোগ পেলেই
ছুটে যেয়ে সাগরের নোনা জলে
আপন চরণ ভেজায়,
সে তো সবুজ মনের ললনা ;
তোমরা তাকে প্রৌঢ়া বলো না।

পঞ্চাশ পেরুনো সময়ের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে
যে রমণী এখনো আনমনে ভরা যুবতী চাঁদের জোছনা ছুঁয়ে যায়,
এখনো যে রমণী ধূসর মেঘ কিংবা
ঝুম বৃষ্টির শব্দে
ভালো লাগা খুঁজে পায়,
সে তো সবুজ মনের ললনা ;
তোমরা তাকে প্রৌঢ়া বলো না।

পঞ্চাশ পেরুনো সময়ের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে
যে রমণী এখনো সবুজ বন বনানীর রূপ লাবণ্যে
নিজেকে হারিয়ে খোঁজে,
এখনো যে রমণী আলতো হাতে বেঁধে নেওয়া
হাত খোপায় বকুলের মালা গোঁজে,
সে তো সবুজ মনের ললনা ;
তোমরা তাকে প্রৌঢ়া বলো না।

পঞ্চাশ পেরুনো সময়ের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে
যে রমণী এখনো অভিমানের চাপা কষ্টে
খোলা আকাশে নালিশ জানায়,
এখনো যে রমণী অল্পতেই কেঁদে
নিজের বুক ভাসায়,
সে তো সবুজ মনের ললনা ;
তোমরা তাকে প্রৌঢ়া বলো না।

পঞ্চাশ পেরুনো সময়ের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে
যে রমণী এখনো তার আকাশে স্বপ্ন সুখের
ঘুড়ি ওড়ায়,
এখনো যে রমণী তার কাল্পনিক জগতে
ভালোবাসার ফুল ফোটায়,
সে তো সবুজ মনের ললনা ;
তোমরা তাকে প্রৌঢ়া বলো না।

পঞ্চাশ পেরুনো সময়ের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে
যে রমণী এখনো জীবন যুদ্ধে
একাই শামিল হয়,
এখনো যে রমণী সত্য সুন্দর জীবন
রচনায় অকুতোভয়,
সে তো সবুজ মনের ললনা ;
তোমরা তাকে প্রৌঢ়া বলো না।

পঞ্চাশ পেরুনো সময়ের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে
যে রমণী এখনো মন ও মননে
সবুজের বীজ বোনে,
এখনো যে রমণী তার পৃথিবীময়
তারুণ্যের গান শোনে,
সে তে সবুজ মনের ললনা ;
তোমরা তাকে প্রৌঢ়া বলো না,
                  প্রৌঢ়া বলো না।