কেমন আছো তুমি?
কেমন কাটছে আজকাল
তোমার দিনকাল?

শুনেছি বদলের সুর তুলেছো
তোমার এলোমেলো জীবন চক্রে ,
বেশ করেছো ।

তোমার ছানা পোনারা সব ভালো তো !
এতকাল পর লিখছি তাই অবাক হচ্ছো?
অনেক বার ভেবেছি লিখবো
ভেবেছি হৃদয়ের কথা সব তোমাকে জানাবো ।
কিন্তু কি জানো তো...
যখনই ভাবি-তুমি পরবাসী
তখনই শুকিয়ে যায় কলমের কালি ।

কাল পূর্ণিমা গেছে
পূর্ণিমা.......
ভুলেছো সব ; নাকি তোমারও মনে আছে?

সবাই নিশুতির বুকে
সমর্পণ করেছে নিজেকে ।
আমি তখন সন্তর্পণে এপাশ ওপাশ করেছি
পাছে পাশে নিদ্রিত প্রাণে ব্যাঘাত না ঘটে ।

শিয়রে খোলা জানালা
প্রবাহিত হুহু বাতাসে
আবছা আলো-ছায়ার খেলা।
মেঘহীন আকাশের বুকে জোছনা বিলিয়ে
যে চাঁদ জাগছে রাত,
ওখানে আমার নির্নিমেষ আঁখিপাত ।

চাঁদের বুকে  তুমি
সেই মুক্তোঝরা হাসি
আহ্ কি অপরূপ!
আজও তাকেই ভালোবাসি।
হাসছো তো !  
হাসো,
তুমি তো জানোই না কোন গহীন অরণ্যে
তোমাকে রেখেছি লুকিয়ে,
থেকে থেকে সে পথ আমি নিজেও ফেলি হারিয়ে।
কেন এতো গহীন অরণ্যে?
যদি জীবনের সস্তা বাস্তবতার ব্যস্ততায়
মুছে যাও তুমি,
জীবনের ধোঁয়াশায় যদি কখনো
কষ্ট তিলক কপোলে আর না দেই চুমি।

কণ্টকাকীর্ণ পথ ধরে যতদূর হেঁটে যাই
কেবলই নিপীড়ন আর ছন্দের নিপতন ।
উদ্বিগ্ন মন আমার শান্তি পিপাসু
নির্বিঘ্নে ফাঁকি দেই সকল চক্ষু
হৃদয় গহীন অরণ্য ছায়া তলে
তুমি পতিত ছন্দে নতুন সুর তোল,
নতুন তালে লয়ে ।

তাই তোমার অস্তিত্বহীন অস্তিত্ব স্পর্শে
আমি এখনো শিহরিত হই,
এখনো লিখে যাই আপন মনে-সংগোপনে ।
আর যখনই ভাবি
তুমি পরবাসী
তখনই আরও বেশী ভালোবাসি ;
আরও  বেশি......