মধ্যাহ্নের তীব্র রোদে ঝলসে যাওয়া সময়টা যখন
অপরাহ্নের পথ ধরে হেঁটে চলে বৈকালিক স্নিগ্ধতা ছোঁবে বলে,
তখন আর রোদের তীব্রতা থাকে না,
ম্লান হয়ে যাওয়া রোদে ভেসে বেড়ায় মৃদু গুঞ্জন;
সে....ই ভোর সকালের স্মৃতিদের বিচরণ।
জ্যোৎস্নার আলিঙ্গনে শিহরিত লাজুক স্বপ্নদের ভীড়ে
ধীরে ধীরে জ্বলে ওঠে সাঁঝের আলো।
এই তো,
খানিক বাদেই নিঝুম গভীরতায় ফিকে হবে
চন্দ্রিমা সাঁঝ,
গভীর থেকে গভীর হবে জীবনের ভাঁজ।
আমি হেঁটে হেঁটে সাঁঝ উঠোনের অনেকটা পথ পেরিয়ে
শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়ে ভাবি মধ্য দুপুরের কথা,
কত সুখ দুঃখ হাসি কান্না আনন্দ বেদনা,
ভাবি অপরাহ্নে বোনা স্বপ্নগুলোকে
যে স্বপ্নরা হারিয়ে গেছে গোধুলির রক্তিম রঙে।
সন্ধ্যা শেষের সময়ে
চাওয়া পাওয়ার হিসেবে হৃদয়ে কেবলই রক্ত ক্ষরণ,
মেলে না, মেলাতে পারি না জীবনের সমীকরণ।
নিঝুম রাতের পথে আজ আর কোনো চাওয়া নেই; পাওয়া নেই,
কোনো রাগ নেই; অভিমান নেই,
প্রাপ্তির তৃষ্ণা নেই,
অপ্রাপ্তির হতাশা নেই,
দুঃখ নেই ক্ষোভ নেই,
নেই নতুন কোনো স্বপ্ন সাজানোর দূরদর্শিতা,
আছে কেবল,
আছে কেবল এক পৃথিবী নীরবতা।
আমি নীরবতার ভাঁজে ভাঁজে খুঁজি; রোজ খুঁজি,
সাঁঝ উঠোনের ছায়া তলে খুঁজি,
স্মৃতির ঝাঁপি হাঁতড়ে খুঁজি,
দুঃখ বিনা সুখের স্মৃতি,
আমি ওদের সঙ্গে নিয়েই হেঁটে যেতে চাই,
টেনে দিতে চাই জীবনের ইতি।