নীলাঞ্জনা আজকাল আর তারুণ্যের উদ্দীপনা নিয়ে
উত্তাল সমুদ্রের বুক চিঁড়ে বেরিয়ে আসা ঢেউয়ের উন্মাদনা ছুঁয়ে দেখবার অজুহাতে,
নোনা জলে নিজের পা ভেজাতে চায় না,
এখন কেবল দূরে দাঁড়িয়ে ঢেউয়ের চঞ্চলতায় মুগ্ধতা খুঁজে বেড়ায় নীলাঞ্জনা।
বিছানার নীল চাদরে লুটোপুটি খাওয়া জোসনা রঙে
ওমেয়ে আজকাল আর কোনো কাব্যিক ছন্দ খুঁজে পায় না,
পায় কেবল জোসনার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত ঘরময় বিষাদের ছোঁয়া।
ইদানিংকালে শরত আকাশের মাধুর্য ওকে ঠিক তেমন করে রাঙিয়ে তোলে না আর,
নীলাঞ্জনা আকাশ নীলে শুভ্র মেঘের কারুকাজে খুঁজে পায় দীর্ঘশ্বাসের হাহাকার।
মেঘ হীন নিঃস্ব আকাশের মতো,
একেবারে ভেতর থেকে পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে যাওয়া নীলাঞ্জনা,
আজও নিস্তব্ধ রাতের ভাঁজে ভাঁজে নিজের দুঃখ গুলো সযতনে লুকিয়ে রাখে,
ওমেয়ে দুঃখ লুকিয়ে প্রতিদিন বেঁচে থাকে,
দিব্যি বেঁচে থাকে,
বেঁচে থাকে নীল কষ্টে ভেজা নিঃসঙ্গ আনন্দগুলো সঙ্গে নিয়ে।
ফিকে হয়ে যাওয়া জীবনের পাশ কাটিয়ে
নীলাঞ্জনা আনমনে স্মৃতির শহর ঘুরে বেড়ায়,
শুরু থেকে শুরু হওয়া স্মৃতির আলিঙ্গনে ওমেয়ের  ভেতরে জ্বলজ্বলে রক্তক্ষয়ী ক্ষত,
অনেকটা ঝরে পড়া শুকনো মেহেদি পাতার মতো,
সবুজ হোক কিংবা ফিকে
ভেতরটা তার টকটকে লাল; লালই থাকে।