তোমাকে যত জানি-
ততই কেমন এক মুগ্ধতার শীতল আবেশে নিজেকে হারিয়ে ফেলি।
নিজেকে হারিয়ে আবার খুঁজি,
বহুকাল আমি নিজেকে খুঁজিনি; একটুও বুঝিনি।
মনের ভেতর একলা মনে
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা চলে,
খরায় শুকায় হৃদ আঙ্গিনা
আবার ভেজে নোনা জলে।
অপূর্ণতার স্বাদ গ্রহণে জীবন যবনিকা লগ্নে
ডানা ঝাপটানো ইচ্ছে পাখিদের আঁচড়ে সৃষ্ট ক্ষতে
কতকাল রক্ত ঝরেছে সকাল সন্ধ্যা দুপুর রাতে,
সেখানে কখনো মমতা ছড়ায়নি কেউ,
তোলেনি নির্মল সুন্দর ভালোবাসার ঢেউ।
অযত্ন অনাদরে সেখানে এখন শ্যাওলাদের নিবিড় বসবাস।
আমার আলো বাতাসহীন স্যাঁতস্যাঁতে শ্যাওলা উঠোনে,
তুমি এক টুকরো ঝলমলে আলো হয়ে উঠেছো দিনে দিনে।
তোমায় এখন মনের সঙ্গে ভীষণ ভাবে রাখি,
দুঃখ কিংবা সুখের খেয়ায় তোমার সঙ্গে থাকি।
জানো,
রাত জেগে আকাশ দেখায় আজকাল আর ক্লান্তি আসে না মনে,
যে জোসনার বিদঘুটে আলোকে আড়াল করতে পর্দা  টেনে রাখতাম ঘরে,
আজকাল সে জোসনার আলো ধরি মুঠো ভর্তি করে।
খোলা আকাশ তলে রাতের ছাদে
কিংবা ঘর পেরিয়ে সবুজের বুকে
দাঁড়িয়ে বা বসে চাঁদ দেখতে এখন ভালো লাগে ভীষণ,
তুমি যে সঙ্গে থাকো; মনের সঙ্গে মিলন।
একদিন তোমার কাঁধে মাথা রেখে আস্ত একটা সন্ধ্যা
কাটিয়ে দেবো সমুদ্রের তীরে,
তোমাকে সঙ্গে নিয়ে একদিন হারিয়ে যাবো দূর বহুদূর,
লোক লোকারন্য ছাড়িয়ে
ভয়ানক কোনো সুন্দরের ভীড়ে।
ভেজা রোদের উঞ্চতায় তোমাকে সঙ্গে নিয়ে ভিজে ভিজে একাকার হবো একদিন আমি,
বর্ষার জলে শুকিয়ে
কুয়াশায় পোড়াবো সব পাগলামি।