হ্যালো---শুভ বিকাল
হুম শুভ বিকাল
কেমন আছো,খুব ব্যস্ত?
এই তো কেটে যাচ্ছে,তুমি কেমন?
আছি ভালোই।কি করছো?নিশ্চয়ই অফিস ছুটি,বেরুবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলে বুঝি!
হুম তা খানিকটা বটে;তবে প্রস্তুতি ব্যস্ততার চেয়ে তোমার ফোনের আকাঙ্খা ছিলো বেশি।
তাই বুঝি?
তাই-ই তো!আমার হৃদয়ের পতিত জমিতে তুমিই তো এক টুকরো সবুজ সুখ।
বাহ্ ভালোই বলেছো---সবুজ সুখ।আচ্ছা যাকগে সে কথা
এবার বলো গুছিয়ে নিয়েছো তো সব,
কলম চশমা ওয়ালেট ল্যাপটপ।
আমি তো জানি;
কী ভীষণ ভুলো মন তোমার
নন্দিনী,আর কতকাল
আর কতকাল এভাবে নীরবে নিভৃতে খোঁজ রাখবে আমার!
কেন,খুব বুঝি আপত্তি
নিস্কৃতি চাও তুমি?
তা তুমি চাইতেই পারো,
তোমার শ্রান্তি নিবারণ নীড়ে প্রজাপতি সুখ ছোঁয়ায়
তুমি যে ভালো থাকো---সে আমি জানি।
যদি জানোই তবে কেন এই প্রেম
কেন বলো ভালোবাসি!!
জানি না গো------আমি জানি না।
নীলাদ্রি ছোঁয়া নীলের কাছে,
গোধূলী আলোয় দিগন্ত ছায়ায়
কতবার জানতে চেয়েছি,
আমি উত্তাল তরঙ্গের কাছে গেছি
গিরি নিঃসৃত জলপ্রবাহে প্রশ্ন রেখেছি
চন্দ্র সূর্য তারকারাজি
কেউ জানে না কেন ভালোবাসি।
নন্দিনী-------
হুম বলো,
তোমার দেরি করিয়ে দিলাম;তাই না
সরি,কিছু মনে করো না প্লিজ
ছাড়ছি এখন
সাবধানে থেকো,সাবধানে চলো।
নীলকন্ঠ বন্দী খাঁচায়
জোনাক ঘুমহীন কাঁঠাল চাপার ছায়ায়
আমি একটু একটু করে ডুবে যাই
আমার কষ্ট পুকুর জলে,
তুমি জানো না নন্দিনী
শ্রান্তি নিবারণ নীড় কাকে বলে।
জানি,
ভালোবাসার প্রাঞ্জলতায়
যেখানে অবজ্ঞা অবহেলা অপ্রাপ্তির ক্ষুধা
বিশ্বাসের পোশাক পরিধানে নগ্নতা হারায়।
যে অমেয় সুধার কোন শেষ নেই
নেই কোন তীর
সেই তো সুনিবিড় সুখনীড়
সুনিবিড় সুখনীড়