তোর শহরের ভিড় ভাট্টায় নাইবা হলো বসত
নাইবা দিলি জীবন জুড়ে ভালো থাকার রসদ।
তোর আকাশের নীল জমিনে নাইবা হলাম তারা
নাইবা আমার শোক বিহনে হলি আত্মহারা।
তোর বিছানো লাল গালিচায় নাইবা হলো হাঁটা
নাইবা দিলি গোলাপ তুলে; বিঁধলো হাতে কাঁটা।
তোকে ছুঁয়ে নাইবা হলো জীবন পাড়ি দেওয়া
নাইবা হলো যখন তখন তোকে কাছে পাওয়া।
তোর জীবনের অলি গলি নাইবা হলো জানা
নাইবা হলো তোকে পাওয়া পুরো ষোল আনা।
তোর সাজানো পাণ্ডুলিপি নাইবা পেলো প্রাণ
নাইবা দিলি ভালোবাসার সুষ্ঠু প্রতিদান।
তোর কবিতায় আমার কথা নাইবা হলো লেখা
নাইবা আমার দুঃখ ব্যথায় দিলি খানিক দেখা।
তোর ভুবনে নাইবা পেলাম তিল পরিমাণ ঠাঁই
নাইবা দিলি ভালোবাসা; তবু ভালেবেসে যাই।
তোর দেখানো স্বপ্ন সাঁকো নাইবা দিলাম পাড়ি
নাইবা তোর ইচ্ছেয় আমার পরা হলো শাড়ী।
তোর অতীত স্মৃতির মেঠোপথ নাইবা হলো ছোঁয়া
নাইবা হলো স্বচ্ছ দেখা সরিয়ে ঝাপসা ধোঁয়া।
তোর উঠোনে নাইবা পরুক আমার লাজুক চরণ
নাইবা তোর বন বনানী করুক আমায় বরণ।
তোর ফুল বাগিচায় নাইবা হলো প্রিয় ফুলের চাষ
নাইবা তোর অক্সিজেনে নিলাম আমি শ্বাস।
তোর মা মাটির মমতাতে নাইবা হলো সিক্ত হৃদয়
নাইবা হলো তোর আকাশে আমার রক্তিম সূর্য উদয়।
তোর ছলচাতুরী বাহাদুরি আমার সর্বনাশ
তোর দুঃখবোধে পাবি খুঁজে করুণ দীর্ঘশ্বাস।