কেমন যেন এক অদ্ভুত অদৃশ্য
কংক্রিটের দেওয়ালে
আটকা পড়ে আছি আমি;
আমার জন্ম এ চার দেওয়ালের ভেতরে,
দেওয়ালটা কেমন যেন,
দেখতে গেলে দেখতে পাইনা,
তাহলে মাঝে মাঝে বারি খেয়ে
হোঁচট খেয়ে পড়ে যাই কেন?
দেওয়ালের ওপারে সভ্যতার সব কুৎসিত
লীলাখেলাগুলো আমার চোখের সামনে
এক এক করে কৃতকার্য হচ্ছে;
তখন আমি কিছু দেখতে পাইনা,
কিছু করতে পারিনা,
আটকাতে পারিনা ঐ পশুদের,
বাঁচাতে পারিনা ঐ নিরীহ মেয়েটিকে
ধর্ষণের হাত থেকে,
দেওয়ালের ভেতরে আটকে থেকে
চিৎকার করে যাই, কেউ শুনতে পায়না;
দেওয়াল ভাঙ্গার চেষ্টা করিনা,
ঐ মেয়ের চিৎকার আমি না শোনার ভান করি,
নিজেকে বুঝ দেই,
আমিতো চার দেওয়ালে আটকা পড়ে আছি,
নিজেকে বুঝ দিয়ে নিজের বিবেকের কাছে বাঁচি।
প্রতিটি মানব শিশু নাকি জন্ম নেয়
স্বাধীন হবার বাসনায়;
সেই স্বাধীনতা প্রতিফলিত হয়না
জীবনের আয়নায়;
সেই স্বাধীনতার সীমারেখা কখন-কীভাবে
নীরবে-নিভৃতে এঁকে দিল সেই
অদ্ভুত-অদৃশ্য কংক্রিটের দেওয়াল,
সে কারণের পেছনের দর্শন খুঁজি
জোনাক পোকার আলো দিয়ে
আমার চিন্তায়, ভাবনায়।