জীবনকে তখন তেমন একটা দাম দেইনি,
বাবার অনেক টাকা ছিল,
বাবা-মার দু-কূল উপচানো আদর ছিল,
পৃথিবীটা হাতের মুঠোয় ছিল,
শো-কেস এ দামী দামী খেলনা ছিল।
হঠাৎ করে জীবনের সুর পালটে যাওয়া,
স্কুল থেকে যেন হঠাৎ কলেজে পা দেওয়া,
হঠাৎ করে একটু বেশি বড় হয়ে যাওয়া,
দামী একটা মোবাইল হঠাৎ দরকার হওয়া,
শখ করে সিগারেট খেতে ইচ্ছে হওয়া,
পরে কই থেকে যেন নেশা পেয়ে যাওয়া,
প্রেম করার ইচ্ছা পেয়ে বসা,
পাশের বাড়িতে সুন্দর মেয়ে ছিল একটা,
জানাল দিয়ে উঁকি দিতাম আগে,
এখন যার হাত ধরে ঘুরছি,
তার সাথে আমার কত বৈধ-অবৈধ কথা,
কত বৈধ-অবৈধ রাত,
ধোয়ায় ভরে থাকত আমার মুখ,
জীবনে পেয়ে যাই যেন স্বর্গ-সুখ!
আরেকবার বড় হই আমি,
শেষবারের মত,
আমার অন্ধকার ইচ্ছাগুলো আলো পায়,
আমার বাবার টাকায়;
কলেজ থেকে কখন যেন ভার্সিটি,
স্কুল-কলেজের ঘোলাটে সব স্মৃতি,
বাবার অনেক টাকা ছিল,
তা দিয়ে একটা দামী মোটর সাইকেল হল,
কত নেশায় পড়ে থাকা রাত-দিন গেল,
কতবার কতভাবে প্রেমিকা পরিবর্তন হল,
তারপর ও আমার অনেক প্রেমিকা ছিল,
বাবার যে অনেক টাকা ছিল,
আমার অনেক বন্ধুও ছিল,কারণ;
বাবার যে অনেক টাকা ছিল,
এখন নেশায় পড়ে থাকা প্রতিটি দিন
মনে করিয়ে দিচ্ছে,
হ্যাঁ, আমার বাবার অনেক টাকা ছিল,
তাতে আমার প্রতিটি ভোর ক্লান্তিভরা রাত্রি হল।