কবি ও অকবি
মনোতোষ কুমার মজুমদার
*কান্না হাসির দোলদোলান পৌষ ফাগুনের পালা।
তারি মধ্যে চিরজীবন বইব গানের ডালা।*
গান সেতো আর গান নয়কো সুর চড়ানো গলা।
বুক ফাটানো ঢাক্কোনিনাদ হৃদয় ঝালা পালা।
*সীমার মাঝে অসীম তুমি বাজাও আপন সুর।
আমার মধ্যে তোমার প্রকাশ তাই এত মধুর।*
তোমায় ভুলে আমি এখন এগিয়ে গেছি দূর।
ছন্দ আমার তাল কেটেছে , কেটে গেছে সুর।
*ও আমার সোনার বাংলা –
আমি তোমায় ভালোবাসি।*
সোনার বাংলা কাজল কালো রূপ যে বানভাসি।
ধর্ষিতা আজ বঙ্গমাতা ঝরে অশ্রু রাশি।
*যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে
তবে একলা চল রে।*
দোকলা সে আর কোথায় পাব বহুর মাঝে একা।
পূর্ণ মাঝে শূন্যতা, পথ যে আঁকাবাঁকা।
*পুষ্পবনে পুষ্প নাহি, আছে অন্তরে-
পরানে বসন্ত এল কার মন্তরে?
আজ পুষ্পবনে মত্ত হাতী উঠল যে ঝড় প্রন্তরে।
বসন্ত আজ বিশাদ্ঘন –
কেন তা কেউ জানত রে?
*পরান যাহা চায় তুমি তাই , তুমি তাই গো।*
আজ ফুরাল প্রানের আশা, রুদ্ধ দুয়ার বদ্ধ ভাষা।
প্রেম নেইকো আমার মনে স্বার্থ শুধু সর্বনাশা।
*আমার রাত পোহাল শারদ প্রাতে ।
বাঁশি তোমার দিয়ে যাব কাহার হাতে?*
বাঁশি সেতো সুরের বাহন ছন্দ অবিরাম।
চারিদিকে রাবন রাজা নেই কোথাও রাম।
*গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথ আমার মন ভুলায় রে।*
গ্রাম ভেঙ্গে আজ শহড় গড়া ঢাকা সবুজ পথরে।
কোথায় গেল সেই যে সুদিন খুঁজে বেড়াই হাতড়ে।
কবির মনে মেঘ জমেছে ভাবনা গেছে ভুলে।
বেসুরো তার তানপুরা্টা অ-কবি নেয় তুলে।