কন্যারত্ন
মনোতোষ কুমার মজুমদার
কন্যা আমার দুটি।
বড়ো আমার শান্ত অতি-
ছোট, হেসেই লুটোপুটি।
কন্যা আমার দুটি।
একটি সেতো বিজলি বাতি, অন্য চাঁদনি আলো।
দুয়ে মিলে খুনসুটি, আহা! লাগে কী যে ভালো।
রত্ন আমার দুটি।
হীরের দ্যুতি ঝলোমলো খোলা হাওয়া খাঁটি।
রত্ন আমার দুটি।
একটি যখন শান্ত পাহাড়, অন্য নদীর ধারা।
দুয়ের মাঝে আমি তখন খুশিতে পাগলপারা।
কলজে আমার দুটি।
হাঁপ ধরা মোর বুকের মাঝে প্রাণের ছোটাছূটি।
কলজে আমার দুটি।
একটি সেতো চাঁদকপালি , অন্য সূর্যতেজা।
শিশির ঝরা রাতের শেষে নরম ঘাসে ভেজা।
শক্তি আমার দুটি।
ভীতু বুকে অসীম সাহস শস্য শ্যামল মাটি।
শক্তি ,আমার দুটি।
একটি সেতো বকম বকম নদীর কলতান।
অন্যটি যে চরৈবেতি পাথর ভাঙ্গা গান।
চক্ষু আমার দুটি।
ওদের চোখেই খুঁজে দেখি আলো, আঁধার টুঁটি।
চক্ষু আমার দুটি।
একটি যখন প্রতিবাদের দৃপ্ত আগুন শিখা।
ধূসর প্রাণে অন্যটি আঁকে রঙিন পাখা।
ওরা আমার দুটি চোখের আধ ফোটা দুই স্বপ্ন।
উশর প্রাণে শ্যামলিমা, আমার ,কন্যা রত্ন।