জীবন ধাঁধা
মনোতোষ কুমার মজুমদার
প্রাণ হাঁসফাঁস তপ্ত বাতাস জ্বলছে যেন ধরা।
সৃষ্টি বুঝি বৃষ্টি বিনে আজকে পাগলপারা।
সবাই ছুটে পড়লো জুটে, ডাকে বৃষ্টি দেবতারে।
লোকের ভীড়ে দেখ শিশুরে মাথায় ছাতা ধরে।
বৃষ্টি আসুক নাইবা ভাসুক মনের মাঝে আশ।
এর নাই ক্ষয় এরেই যে কয় অগাধ বিশ্বাস।
ছোট্ট শিশু হাসছে যেন প্রস্ফুটিত তারা।
বাবার সাথে খেলছে কেমন হয়ে পাগলপারা।
আকাশপানে ছুড়ছে তাকে পড়ছে বাবার বুকে
নেই যে তাহার ভয়।
বাবা ছেলের এই খেলাকেই নির্ভরতা কয়।
কাল সকালে উঠতে হবে অ্যালার্মটা যে দিতে হবে
নইলে কর্মনাশা।
উঠবো কি আর ঘুমের থেকে যম দেবতা নিলে ডেকে
এটাই বাঁচার আশা।
তোমার জন্য দিতে পারি ডজন খানিক আকাশ।
তোমার জন্য ছুটিয়ে দিতে পারি ঝোড়ো বাতাস।
তোমার চোখের চাহনিতে ভুলি নিজের ভাষা।
তোমার প্রবল টানেই প্রকাশ আমার রঙিন ভালোবাসা।
যখন সেঁকি রুটি আমার তোমার আগুনে।
আধাঁর আমি ছড়িয়ে যে দিই তোমার ফাগুনে।
তোমার সুখের জলধারায় ছড়িয়ে যে দিই বিষ।
তোমার দুঃখে সুখ খুঁজে পাই আমি অহর্নিশ।
শান্ত বারি চাইনা আমি ছড়াই হিংসা তাপ।
এই চাওয়াটা নয় যে কিছু , এযে আমার পাপ।
বিশ্বাসেরই নির্ভরতায় ভালোবাসার আশা।
পা্পের স্রোতে হারিয়ে যে যায় –
মানুষ কোথায় খাসা?