ফুলটি
মনোতোষ কুমার মজুমদার
এই দেখ ফুলটি কেমন পাপড়ি আছে মেলে।
খেলছে কেমন মনের সুখে সবুজ গাছের ডালে।
বাতাস এসে ক্ষণে ক্ষণে নাড়িয়ে যে দেয় মাথা।
সারাটি দিন মৌয়ের সাথে বকম বকম কথা।
একদিন সে ঘুমিয়ে ছিল গভীর কোন আঁধারে।
ঘুমিয়ে থাকা রাজকন্যা জাদু ছোঁয়ায় জাগলোরে।
কুঁড়ি থেকে ফুলটি হল মেললো রঙিন ডানা।
আসলো অলি মধু খেতে করলো না সে মানা।
সৌরভেতে ভরিয়ে দিল আপন সুখে বিশ্বকে।
নিজের ভালো ছড়িয়ে দিতে হয়না কভু নিঃস্ব যে।
গাছের ডালে ফুল সুন্দর, মায়ের কোলে শিশু।
সয় কি প্রাণে করুণ ছবি ক্রশবিদ্ধ যীশু?
পূজোর ছলে মানুষ সেতো ছিন্ন করে ফুলটিকে।
ঘর সাজানোর বাহানাতে ভাঙ্গে স্নেহের মূলটিকে।
খোঁপায় গাঁথা ফুলটি কেমন করুণ চোখে চেয়ে।
হাসতে সে আজ ভুলে গেছে পাপড়ি গেছে নুয়ে।
এসব দেখে কবির চোখে জল গড়িয়ে পড়ে।
পাপড়ি মেলা ফুলগুলি সব কান্না নিয়ে ঝরে।