যাচ্ছ তুমি যাচ্ছ চলে
শূন্য পাখির খাঁচা হয়ে ।
যাচ্ছে ওরা যাচ্ছে নিয়ে
চার হাতলের খাটে শুইয়ে ।
যাচ্ছি আমি যাচ্ছি পিছে
ছেলের কাঁধে হাতটি রেখে।
আমার পিছে স্বজনেরা
কলমা কালাম সবার মুখে ।
হনহনিয়ে যাচ্ছে সবাই
কিসের এত তাড়া?
মনটা আমার দেয়না সায়
বলছে একটু দাঁড়া।
ডুকরে্ কেঁদে হৃদয় বলে
যাচ্ছ কোথায় আমায় ফেলে?
গত রাতেই কেন তুমি
শেষ ঘুমটা ঘুমাতে গেলে?
যাচ্ছ তুমি যাচ্ছ চলে
শেষ যাত্রায় শেষ ঘুমিয়ে।
যাচ্ছি আমি মৃদু পায়ে
সজল চোখে মাথা নুইয়ে।
বেমালুম এক অভিমানে
আড়ি নিলে কোন কারণে?
বলছো না তো ফিরবে কবে,
ভাব নেবে কি আর জীবনে?
থাকলো পড়ে তোমার বাড়ি,
চশমা, কলম, বালিশ, চাটাই।
ফিরে তাদের কি বলবো
রেখে এলাম তোমায় কোথায়?
কখন যেন চলে এলাম
বাড়ী থেকে খানিক দূরে।
সাজানো হেথায় তোমার ঘর
সাড়ে তিন হাত ভূমি খুঁড়ে।
হীম শীতল ঐ মাটির ঘরে
যত্ন কোরে শুইয়ে রেখে।
বুকের ভার হালকা করি
শেষবারে চেনা মুখটা দেখে।
মাটির ঘরেই
মাটির দেহের দেহাবসান।
দখিন পানে পদযুগল
উত্তরেতে শিথান ।
নিরন্তর নিদ্রা যাও
হেথায় নিরবধি।
এটাই তোমার আসল বাড়ি
এটাই সমাধি ।