চন্দ্রানী তোর চন্দ্রহার। অশ্রুধারার বারিধারে-
কাহার তরে হাহাকারে, সিক্ত বারেবারে ?
চন্দ্রানী তোর বর্তমান। সালিশ বসা বিষ বাসরে।
ঘুমহারা চোখ নালিশ করে- খিল আঁটানো বদ্ধ ঘরে।

সে বুঝি তোর যায় কাঁদিয়ে-
যাকে বাসিস ভাল হাত বাড়িয়ে!
সোনার কাঁকন মুখ ভেংচায়।
হৃদয় ভেঙে যায় চলে যায় ভালবাসার হাত ছাড়িয়ে।

চন্দ্রানীগো। রাধিকাও হার মেনেছে-
কৃষ্ণ বাঁশী যেই বেজেছে।
কুল-কালিমার ভীতি টুটে যায় রাধা যায় নদী তটে।
হোক না দিবা কি-বা রাতি- ঐ রাধিকা তাও ছুটেছে।

চন্দ্রানিরে ঠিক জানিনা- তোর সে-জনা কৃষ্ণ কি-না ?
বাঁশীর টানে টানতে জানে- না তোকে না, অন্যজনা।
সইতে নারে কইতে নারে কাঁকন, চন্দ্রহার।
বলতে পারি- এসব কিছুই হার মানা এক হার।

চন্দ্রানিরে। খিল আঁটানো বদ্ধ ঘরের খিল খুলিয়ে
আয় ছুটে আয় সদর দ্বারে। বিষ বাসরের পাট চুকিয়ে।
দেখ্‌ চেয়ে দেখ্‌, এই আমি সেই ঠাঁই দাঁড়িয়ে।
খুলে কাঁকন মালা চন্দ্রহার,আয় ছুটে আয়। আয় পালিয়ে।