অসংখ মানুষ – গড়ছে।
একাকার হচ্ছে। ছাড়ছে! ভাঙছে!
-আবার গড়ছে।
অথৈ রঙের নতুন দিনের আগামীতে পা রাখছে।
আগামীতে ভর করে অসংখ মানুষ বাচঁছে।

আমার পত্নী। প্রবীন গৃহিণী –
কড়াইশুটি–ঢেঁড়শ–পেঁয়াজের আস্তরন ভেদ করে –
অন্তসার অন্বেষণ চালাচ্ছে।
চোখ ঝাঁজে জ্বলছে! জ্বল ঝড়ছে! অন্বেষণ চলছে!
আগামী তাকে এখনো হরেক রঙে রাঙাচ্ছে!

অসংখ ফুল ফুটছে!
মালা গাঁথছে। ঝড়ছে! শুকোচ্ছে!
পদদলিত হয়ে রঙ-রূপ হারাচ্ছে।
আবার ফুটছে।
আগামীর মানুষকে রূপে গন্ধে-সৌরভে ভরাতে চাচ্ছে।

আমার ভগ্নি। নবীনা রমনী।
দর্পণে দাঁড়িয়ে-
দুলে দুলে–ঘুরে ঘুরে কেশদামে বেনী বাঁধছে।
চোখে আগুন জ্বলছে। রতিতরঙ্গ নাচছে। বেনী বাঁধছে।
আগামী তাকে হাত-ছানি দিয়ে ডাকছে।

অসংখ ভোর আলো আনছে।
ধপধপে হচ্ছে। ছড়াচ্ছে। গড়াচ্ছে।
গোধূলি এসে প্রতিবার তাকে ম্লান করছে
রাতের আঁধারে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
আঁধার ছিঁড়ে আবার ভোর আসছে।
আগামীকে আলোকিত করতে সে চাচ্ছে।

আমার কন্যা। সবে নবীনা।
বইগুলো বুকে চেপে। অলসে, ঘুমে ঢলে
প্রভাতেই বিদ্যালয়ে ছুটছে।
চোখ দু’টো ঢুলছে। ঘুম ভর করছে।
বিদ্যালয়ে ছুটছে।
আগামী সফলতার স্বপ্ন তাকে ভোরেই ছুটাচ্ছে।

আমি-আমরা আগামীর তাই-
পত্নী–ভগ্নি–কন্যা হরদম আগামীকে আঁকছে।
আগাম স্বপ্ন গুলো আমাদের বাঁচাচ্ছে।
অসংখ মানুষ আশায় আশায় বাঁচছে।