এককালে নগরে ছিল এক নবাব বেগম।
খানদানি পানদানিটি ছিল রুপার গড়ন।
পানেতে চুনের প্রলেপ লাগাতেন বেগম
হাতে নিয়ে মনোরম ময়ূরের পেখম।
একদা বসন্ত সাঁঝে আয়েশে বসে নবাব বেগম।
পানের বাটাটি মাঝে। দুই ধারে নবাব বেগম।
তবক মোড়ান ‘পান ময়শুর’এ সুগন্ধি যেমন।
পানের মশলাদি ততোধিক রকমারি তেমন।
চান্দির সুপারি, গুলফাম, খুরমার ‘পান–এ-দিলখুশ’।
আবরাক আবরণের ‘পান-এ-মমতাজে’ সন্ধ্যা বেহুঁশ।
শোভা পায় পানদানিতে ‘পান-এ-শাহজাহান’।
থালাতে সাজান কিছু ‘বাংলার নবাবী পান’ ।
হিরক আঙ্গুটি চমকায় বেগমের তজ্জনীতে।
তুলনা চলে চমকের, পানের তবকের সাথে।
নীলাভ আকিক হাসে নবাবের মধ্যমাতে।
নবাবের হাত ঝুঁকে পড়ে বেগমের হাতে।
হিরক আঙ্গুটি লুকোয় লাজে আকিকের মাঝে।
পানগুলি চমকায় আবরাকে – বসন্ত সাঁঝে।
এককালের আয়েশি সেই নবাব বেগম
পানের রসে ঘ্রাণে আজ যেন ছবির মতন।