তব রূপ দেখিতে দেখিতে
বেলা কাটিল
ব্যস্ত রহিল দু’টি আঁখি।
সোনার অলংকারে অঙ্গরাগ
কেমন সাজালে দেখিবার অবকাশ
মেলেনি গো সখি।

নয়ন পানে
রাখিলে চাহনি
ফেরান যায়নি অন্যপানে।
কি জানি কেমন পাশা পড়েছ,
কি-বা কান-বালা ধরেছ দু’টি কানে।

অধর যুগলে পড়িলে চোখ
কি যেন বলিছে
কিছু না বলে পুষ্প দোপাটি।
যায়নি ফেরান আঁখি
কেমনে তবে দেখি
কি শোভা বাড়াল
সোনার হাতে সোনার কাঁকন দু’টি।

কর পল্লব বাড়িয়েছ
যবে ভালবেসে
ভুলিয়েছ সবই
মুদিয়েছো আঁখি।
দেখিনি হীরক খচিত অঙ্গুঁরিখানি
কেমনে আঙ্গুঁলে হাসে।

রূপের হাটে
চড়া দাম দিয়ে
কিনেছি যে রূপবতীটি।
দেখিনি চাহিয়া
বাঁধিয়া চুলের খোঁপা
কেমনে গুঁজেছ রুপোর কাঁটাটি।
আলোর ঝলকে
কেমনে চম্‌কে
চন্দন টিপ আর নাকছাবিটি।

মোর চোখের চাহনি
থেমে থেমে যায়
তোমার চোখে
জনম জনম দিবস ও যামিনী।
ফেরাতে দাওনি চোখ
থেকেছি অভিনিবিষ্ট
রূপের মোহোতে ।
ওগো মোহিনী কাজল নয়না রমণী।