খুব ভাল হত
যদি এই ভুবনেতে
সুন্দর যা কিছু এমনই থেকে যেত,
শুধু তুমি নয় থাকতে।
বিরহের এত জ্বালা
হতো না তবে আমাকে সইতে।
নদী, নাও, স্রোতধারা,
পাখী, ফুল, শশী, তারা
পারেনিতো কভু
আমাকে কাঁদাতে।
পেরছ শুধু তুমি তা
হাসতে হাসতে।
খুব ভাল হত
তুমি নয় এ পৃথিবীতে আসতে।
ভাল নেই আমি
ভাল আছ শুনি।
নতুন প্রেমে প্রমুদিত
রয়েছ তুমি।
খুব ভাল হত
নতুন প্রমোদ প্রহেলিকা হয়ে
উবে যেত।
বিরহ জ্বালায় জ্বলতে তুমি
আমারই মত।
দিয়ে যেতে চেয়েছ
বেদনার কাঁটাগুলো
যত্ন করে সাজিয়ে গুছিয়ে।
সুখগুলো দিয়েছ তাকে
আবার ভালবেসেছ যাকে ।
সে যেন বাসে না ভাল ।
মিলিয়ে যাক -
হয়ে আলেয়ার আলো ।
আমার এ বেদনা ঘুচবে তখন
সে বেদনায় তুমি যুঝবে যখন ।
তোমারও জীবন
আমারই মতন
প্রেমহীন নিঃস্ব হত ।
খুব ভাল হত ।
সব ঋতু ঘুরে ঘুরে
আসুক ফিরে ।
রূপ রঙ পাল্টাক
শুধু তোমারই ছাড়া
সবার ঘরে ঘরে ।
গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত
শীত, বসন্তে ।
মাঠ ভরা শষ্য, জ্যোৎস্না, রজনী,
কাননের ফ্লু, দিবস, দিনমনি,
আকাশ, তারকা, নদী ও রমণী।
প্রেমের সুধায় ভরে থাক চিত্ত প্রমত্তে।
খুব ভাল হত
প্রেমহীনা, সাখিহারা, একাকী
শুধু তুমি জগতে।
পারবনা আমি পারবনা রোমিও হতে।
অথবা ঠেকা পড়েনি শারাবের আধাটা
গলাতে ঢক্ ঢক্ ঢেলে
বোতলটা বোগলে ঠুঁসে টলে টলে
দেবদাস হতে ।
বিরহেতে জ্বলে পুড়ে
নিজেকে ধ্বংস করে
কাফনের কাপড় একাকী গায়ে জড়াতে।
খুব ভাল হত
যদি এই লেখালেখি কাগজের আঁচড়গুলো
ধুয়ে মুছে ধবধবে সাদা হয়ে
দৈর্ঘে প্রস্থে বেড়ে গিয়ে
তোমার কাফনের কাপড় হয়ে যেত।
খুব ভাল হত ।