মোহিনী মুখোখানি এমনো ঘোর আঁধার
বধূ, দেখিনি গো আগে কখনো আর!
হয়, মরমে বিষম ব্যাথাটি পুষিছ
নয়, অঙ্গ পল্লবে কিছু যাতনা বহিছ!

এ বুকে মাথা রেখে ঘুমাও, এ ব্যাথাতুর ক্ষণে।
শিয়রে বুলিয়ে অঙ্গুলি পেলব ছোঁয়া
এনে দেব ঘুম ।বধূ, তোমার জন্যে ।
জাগিয়া রহিব সারাটা রজনী,
চাহ যদি সারাটা সায়াহ্নে।
ফোটাব পুষ্পরাশি মনের অরণ্যে ।
বধূ, তোমার জন্যে ।

দেখিবে ঊষাতে জাগিয়া, চকিত চাহিয়া
কি মালা গাঁথিয়াছি তোমারই লাগিয়া ।
শ্রবণে ধরিবে – কোন সুর সারথি
গাহিতেছে গীতি ।
কত ভালবাসা রহিছে জমিয়া, এ রাত জাগা নয়নে।
বধূ, তোমার জন্যে ।

হাসিয়া হাসিয়া স্বপনে ভাসিয়া,
মরমে দেহেতে পশান বেদনা, দিও মোরে সঁপিয়া।
বহিবার তরে,
বাহু দুটি বাড়িয়ে রাখিব তোমার পানে।
বধূ, তোমার জন্যে ।

মোহিনী মুখোখানি এমনো ঘোর আঁধার
বধূ, দেখিনি গো আগে কখনো আর!