প্রিয়া, আজ তুমি
নিজেকে রূপসী সাজিয়ো।
আসবে গোপনে আজ গোপন প্রিয়।

আবীরের হালকা ছোঁয়া
কপোলে ছুঁইয়ো।
অধর যুগল -
গাড় লালে রাঙিয়ো।
কাজলের কালিতে
চপল আঁখি দুটি আঁকিও।
কালো টিপ -
কিছুতেই পড়তে ভুলনা।
দেখো -
যেন কারো নজর লাগেনা।

মাশকারা মাজা কাঁপা কাঁপা চোখের পাতা
মৃদু লাজুক রেখো।
ডাগর নয়ন দু’টি সদা সজাগ রেখো।
দেখো, কেউ যেন না বোঝে -
আসবে গোপনে আজ গোপন প্রিয়।

পরিপাটি ঘরটিকে -
সাজিও মায়াবী আলোতে।
বাহারি ফুল কিছু সাজিও ফুলদানিতে।
পশমি মখমলের ফরাশখানি,
পাতিও বসার আসনে।
কতেক ফুল
ছিটিও তোমার বাড়ির উঠোনে।
ঘরের জানালাগুলো ভিড়িয়ে রেখো।
দেখো, কেউ যেন না জানে -
আসবে গোপনে আজ গোপন প্রিয়।

তন্তুজ নীলাভ শাড়িতে
তন্বী তনুকে  রেখো জড়িয়ে ।
আঁচলটি লুটায় যেন মেঘ রঙ হোয়ে।
এলো খোঁপা এলানো,  
যেন সাবিত্রী কেশবতী।
রুপোর কৌটায় রেখো সুগন্ধি এক রতি।
আড় চোখে চারপাশে নজর রেখো।
দেখো, কেউ যেন না দেখে -
আসবে গোপনে আজ গোপন প্রিয়।

আষাঢ়ের বৃষ্টিতে ভিজে গেলে প্রিয়,
রেশমি গামছা দিয়ে মুছিয়ে দিও।
তোমার বর্ষা দিয়ে আবার ভিজিও।
কেউ যেন না জানে
বর্ষা নেমেছে মনে।

যদি সাঁঝ নেমে যায়
একটু একটু করে,
নিভু নিভু এক দীপ
রেখো দুয়ারে জ্বালিয়ে।
পথ ভুলে কড়া না নাড়ি -
অন্য কামিনীর দুয়ারে গিয়ে।
আধো আলো আধো ছায়াতে দাঁড়িয়ে,
ডকে নিও ঈশারায় পথ চিনিয়ে।
মেহেদী রাঙানো করতলে -
নিজেকে রেখো আড়ালে।
অন্য কামিনীরা যেন দেখে না ফেলে।

বরণ কোরেই ঘরে -
প্রদীপ শিখাটি বুজিয়ে দিও।
তোমার মোহিনী রূপের ছটায়
আমাকে দেখো।
ভালোবেসে হাতে রেখে হাত
নয়ন সমুখে বোসো।
জানবেনা কেউ -
গোপনে এসেছে আজ গোপন প্রিয়।