একদিন, তোমাকে নিয়ে
ঘোর লাগা বিকেলের শেষ প্রান্তে,
এলোমেলো হেঁটে চলেছি আমি
সঙ্গী একরাশ ক্লান্তি
আর আজন্ম একাকীত্বের সাক্ষী বয়ে চলা ঐ পথটি।
দেখি,
খেয়ালী বাতাস লুকোচুরি খেলে দিকভ্রান্ত ছন্দে
স্ফটিক স্বচ্ছ আকাশে নীলিমার বড্ড বাড়াবাড়ি
যেন প্রাচুর্যের আধিক্যে ঈষৎ বিড়ম্বিত!
সবুজের অহংকার গাছের নবদ্যোম যৌবনে
আর পালাবদলের সরব বাণী
প্রকৃতি শোনায় সলাজ বিনয়ে।
অথচ,
ক্লান্তি আমার যে ঘুচেনা!
প্রকৃতির বর্ণিল আবেদনে সঁপে দেই নিজেকে
প্রাণপনে ভাবি হারিয়ে যাবো ঐ শিহরণে
তবুও পারি না, পারি না কিছুতেই ভুলতে
আত্মতায়ী প্রিয় ঘাতকের মতো
মন পোড়ানো তোমার স্মৃতি!
যন্ত্রণার যাঁতাকলে পৌনঃপুনিক পিষ্ট আমি
পথের একাকীত্বে হঠাৎ অন্ত্যমিল দেখি
পথকেই টেনে নেই আপন করে
ভাবি পথই হয়তো হয়ে যাবো কোনো একদিন।
বিধাতা হয়তো হাসেন দুর্মর তাচ্ছিল্যে
নিস্ফল প্রতীক্ষার খঞ্জর ভাবনাহীণ প্রহর গোণে
আমূল বিদ্ধ হবার সুখ-স্বপ্নে!
তাই পথে হারিয়ে গিয়েও মিঠে না আমার জ্বালা
বারে বারে ফিরে আসে একান্ত উদাসীনতায়।
লাল সাদা চেরী ঢাকা পথ আনমনে পড়ে রয়
আমার জমাট দুঃখগুলি খুঁজে না পায়
এতটুকু সান্ত্বনার আশ্রয়।