অত্যাচারী আমি,
ঐ পবিত্র সত্তার আদর্শের করিয়াছি অত্যাচার,
দূর করিয়াছেন যিনি অজ্ঞতার নিকষকালো আধার,
তিনি ইবাদত গুজার অভিযোগ হত যার
বিষম কষ্টে পদদ্বয় ফুলে যাওয়ার।
অতীব ক্ষুধার তাড়নায় যাহার মেদভুড়িতে পরত ভাজ,
পেটে পাথর বেঁধে অনাহার লাঘব ছিল যার কাজ।
স্বর্ণের সুউচ্চ পাহাড় উপঢৌকন যাহার করিতে বিভ্রান্ত,
দৃঢ়কণ্ঠ প্রত্যাখ্যান করেন তিনি দেখত কে চির উন্নত।
প্রত্যাশার চেয়ে বিরাগ যার দৃঢ়তর,
প্রয়োজন তাহার অটলতা অতিক্রমে অক্ষম।
ঐ ব্যক্তির প্রয়োজন কিসে সাধিবে ধরণী আকৃষ্ট,
যিনি নাহি হলে নাহি হত ধরণী ভূমিষ্ঠ।
মুহাম্মদ সাঃ মোদের সর্বকালের জাতি বর্ণের নেতা,
নবী মোদের সৎ কাজে আদেশ অসৎ কাজে বারণ দাতা।
হা"না" প্রতিশ্রুতি পালনে অধিকতর জ্ঞাত,
বিপদ সময়ের বন্দু তিনি তার সুপারিশ চায় প্রত্যেক।
আল্লাহর পথে ডাকেন তিনি করিতে আদর্শের অনুসরণ,
ধরিয়াছেন যারা ধন্যতারা অবিচ্ছেদ্য রশি ছিন্ন
হয় কি কখন।
আকৃতি প্রকৃতি সার্বিক ভাবে তিনি সকল নবীদের সেরা,
বিদ্যা বদান্যতায় যার নিকটবর্তী নয় তাহারা।
জ্ঞানের সাগর যাহার রাসুল আমার সবার জানা,
প্রত্যেকের আবেদন পেতে তাহা হতে এমন অন্জলী বা বৃষ্টিকণা।
তাহারা সকলেই তার সমীপে এক মহৎ চেষ্টায় দন্ডয়মান,
পেতে এক মুহুর্ত দর্শন কিংবা এক বিন্দু জ্ঞান।
ঐ সত্তা তিনি পূর্ণ যিনি ব্যহিক অভ্যন্তরীণ ও প্রকৃতিগত,
সৃষ্টিকুলের স্রষ্টা করিয়াছেন যাহাকে বন্দু রূপে মনোনীত।
রূপ লাবণ্যে গুনাবলীতে তিনি বিভক্তির দোষ হতে মুক্ত,
সৌন্দর্যের মৌলিক উপাদান তাহার মধ্যে অবিভক্ত।
খৃস্টদের নবী তাহারা যা করেছিল দাবী কর তা বর্জন,
মোদের নবীর বৈধ প্রশংসামুখর থাকতে কর সিদ্দান্ত কর গ্রহন।
বিরল সত্তায় যত ইচ্ছা মর্যাদা কর সম্পৃক্ত,
মর্যাদার সাথে যত পার যুক্ত কর মহাত্ন।
নবীর মর্যাদা এমনি যাহার সীমা নাই,
কোন বক্তা নাই যার বর্নণায় সক্ষম তার ভাষায়।
তার মর্যাদা আর মহাত্ন যদি একাকার হত,
তাহার নামে আহব্বান করিলে মৃত হাড় হত জীবিত।
এমন পরীক্ষাতে তিনি আমাদের করেন নাই নিপাতিত,
জ্ঞান বুদ্ধি হয় অচল যেন না হই সন্দেহবান বিভ্রান্ত।
তাহার মূল রহস্য অনুধাবন সাধ্যের বাহিরে,
প্রত্যেকই তার রহস্য উদ্ভাবনে নির্বাক কাছে কিংবা দুরের।
যেমনি দূর হতে রবি চোখে ক্ষুদ্র প্রকাশ পায়,
যাহার সম্মুখে দৃষ্টিকে ক্লান্ত ও ব্যর্থ করে দেয়।
কিভাবে তার হাকিকত্ জগতে অনুধাবন করিবে ঘুমন্ত জাতি,
স্বপ্নে দেখিয়া যারে তাহারা অনুভব করে পরম আত্নতৃপ্তি।
তাহার সম্পর্কে জ্ঞানের পরিধি তিনি মানব একজন,
তিনি আল্লাহর সর্ব সৃষ্টির সেরা অবতরণ।
সমস্ত নবীগন যে মুজিযা আনিয়াছে ধরণীতে,
ক্ষিয়দাংশ পৌঁছেছে তাদের কাছে তাহারি নূর হতে।
শ্রেষ্ঠত্য মর্যাদার আকাশে তিনি উজ্জল রবি,
রবিহীন অন্ধকারে তাহারা মিট মিট নক্ষত্ররাজি।
এ উজ্জল রবি যখনই উদিত হল ধরণীতে,
ছড়ালো হেদায়তের আলো জাগিল জাতি অজ্ঞতা হতে।
মনোরম গঠনরূপ যার নবীজি আমার সাজাইল যাহাকে সৌন্দর্য ও চরিত্র,
উত্তম চরিত্রবান তিনি চেহারায় প্রস্ফুটিত।
সজীব বৃক্ষের উজ্জল কলি তিনি মর্যাদার আকাশে পূর্ণিমারচাঁদ,
বদান্যতার সাগর তিনি সাহসের এক ধাপ।
যখনি একাকী তিনি তুমি তখনি লইবে তার দর্শন,
মনেহবে নিরাপত্তা বাহিনী ও সেবকগন করে আছে পরিবেষ্টন।
ঝিনুকে সুরক্ষিত মুক্তা যেন তাহার মুচকি হাসি,
কথা প্রকাশের আকরদ্বয় হতে বাহির হয় অমর বাণী।
সুগন্ধি নেই কোন ঐ মৃত্তিকাসম যাহা তার হাড়কে ঘিরে,
সৌভাগ্যবান ঐ ব্যক্তি যে মৃত্তিকার সুবাস লয় চুম্বন করে।
(সমাপ্ত)।