সে কহিল না কোনো কথা,
শুধু দু ফোঁটা অশ্রুজল করলো ছলছল তাহার নয়নে।
আকাশ ভরা বিরহ বেদন, রোদন হইয়া আসলো যখন,
আপন কোমল হস্ত দুটি, আপনার চোখে ধরলো টুটি,
অভিমানের অশ্রুটুকু লুকাইলো সে গোপনে।

এ যেন বাদলা বিহীন বৈশাখী ঝড়,
গাছপালা ঘর কাঁপে থর থর,
থমকে থমকে বিজলী চমকে
কালো মেঘ যেমন গগনে,
তেমনি হৃদয়ে তাহার বহিছে নৈঃশব্দে
বিরহের শোকার্ত ঝড়,
অব্যক্ত ব্যথাগুলো বাষ্পরুদ্ধ অশ্রু হয়ে
কথা কয় নিষ্পাপ নয়নে।

সে কথায় ছিল বড় আকুলতা, প্রেম ছিল কিনা কে জানে,
যেতে নাহি চায় মন থাকতে চায়
তাহার প্রিয়জনের প্রিয় বাঁধনে,
কিন্তু এই অদৃষ্ট বিচ্ছেদ! জানে না খণ্ডিবে সে কেমনে।
  
অবশেষে সে খানিক মৃদু হেসে আকাশে তুলিয়া মুখ,
বিধাতারে  কি যে বলি দ্রুত গেল চলি বারেক ফিরাইল না চোখ।

(এটা কোন কবিতা নয়।এটা একটি বাস্তব ঘটনা। আমার ছেলে জন্মগ্রহণ করে সৌদি আরবে। কিন্তু সে যখন ১১ বছর বয়সে সৌদি আরব ত্যাগ করে বাংলাদেশে একবারেই চলে আসে, তখন তার নীরব কান্নার অশ্রু জল দেখে তৎক্ষণাৎ এই লেখাটা লিখেছিলাম)