বুড়িগঙ্গা তুই রইলি বুড়ি ফিরলি না ফের যৌবনে,
কত নদী রং বদলায় আষাঢ়-ভাদ্র-শ্রাবণে।
তোর জোয়ার ভাটার রূপের বাহার
দেখে মোগল রাজ,
গড়লো নগর ঢাকা শহর তোর তীরে
করে হরেক রকম সাজ।
বছর বছর ঢাকা শহর হচ্ছে অনেক বড়,
তুই তো নদী নিরবধি শুধু হচ্ছিস জড়সড়।
কোথায় এত সংকোচ তোর কিসের এত ভয়?
নিরবে কেন সহ্য করিস নিত্য দেহ ক্ষয়।
তোর অঙ্গে ছলচাতুরির ঢঙ্গে যারা গড়ছে বসত আবাদ,
কেন তুই করছিস না এই অন্যায় দখলের প্রতিবাদ?
নীরবে তুই সইবি যত ততই হবি নিপীড়ন,
দেখিস নে তুই ব্রিটিশদের অত্যাচারের শাসন!
তুই তো দেখেছিস বাঙ্গালীদের বঞ্ছনার ইতিহাস,
পাকিস্তানি যুগে এদেশের মানুষ ছিল কত উপবাস।
নিষ্পেষিত বাঙালি যেদিন জাগলো মুক্তির চেতনায়,
স্বাধীনতার সূর্য উদিত হলো সেদিন দেশের প্রতিটি গাঁয়।
আবার জেগে উঠ বুড়িগঙ্গা, ছিনিয়ে নে তোর অধিকার,
বহিয়ে দে তোর বুকে খরস্রোত খেলা শুরু কর ভাঙ্গনের।
আমাদের দেশে নীরব বেশে পাবি না তুই ন্যায় বিচার,
এ দেশে সর্বদাই প্রভুত্ব চলে শুধু শক্তি আর ক্ষমতার।