ছেলেটি সদ্য স্নাতক পাশ বেকার
পিতৃহীন ছেলে বুঝেছিলাম চোখ দেখেই।
"এ বয়সের  পিতৃহীন ছেলেদের চোখে চঞ্চলতা থাকে না, উচ্ছাস থাকে না, স্বপ্ন থাকে না, পাশে থাকে না কেহই"।।

দুশ্চিন্তায় তার চোখের নিচে পড়েছে কালো রেখা,
হতাশায় ভেঙ্গে গেছে দুই গাল,
কেউ দিলে খায়, না পেলে চায় না কারো কাছে
অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের অভাবে কাটছে দিনকাল।

আমার কাছে এসেছিলো একটা চাকুরীর প্রত্যাশায়,
দেখলাম সে এ জগতে একা বড় অসহায়
বললাম; কিছুদিন থাকো আমার এখানে
অতি বিনয়ে অসম্মতি জানালো। হয়তো সে জানে
"নিরুপায় পরান্নভোজীদের জীবন কত ভৎসনার,
হোক সেটা কিশোর যুবক বৃদ্ধ কিংবা যে কোন বয়সের"।

কিন্তু কোথায় দিব চাকরি? গ্রামের সরল ছেলে,
ইংলিশ জানে না মোটে ও, আঞ্চলিকতায় কথা বলে।
যোগ্যতা তার শুধু স্নাতক আর আচানক গাল ভরা হাসি,
কিন্তু "শহরে এখন অর্ধনগ্ন নারী আর হাফ ইংলিশ জানা মানুষের দাম বেশি"।
বললাম তারে এসো মাস পরে খুঁজে দেখি ভালো কাজ,
যখন ইচ্ছে চলে এসো আমার কাছে করো না তুমি লাজ।

সেই যে গেল আর ফিরে নাহি এলো হঠাৎ আট-নয় মাস পর,
দেখি সেই ছেলেটি শহরের এক ওয়াড মিটিংয়ের সুধী মান্যবর।
জানলাম পরে সে হয়েছে দলের দাস করছে রাজনীতি,
এখন শহরে তার সবি আছে অর্থ-বিত্ত আছে জনপ্রীতি।
বিনা মূলধনে ব্যবসা তাহার হচ্ছে জমজমাট,
আমি শহরের ভীরু অধিবাসী সে হলো সম্রাট।