প্রেমিকেরা কসাই হতে পেরেছে বলে প্রেমিকারা
ফুল হয়ে ঘুমতে পেরেছে।
প্রেমে পড়ার আগে প্রেমিকও ছিলো মাটির মতো
সহজ সরল।
দুই যোগ দুই চার হয় এই সহজ হিসেবেটাও প্রেমিক ভুল করতো।
প্রেমে পড়ার পর দুই যোগ দুই যে পাঁচ হতে পারে সেটা প্রেমিক খুব সহজেই মিলাতে পারে।
প্রেমিকার জন্য আরেকটা 'এক' কেড়ে নিয়ে আসতে পারে হাসতে হাসতে।
প্রেমে পড়ার আগে প্রেমিক ছিলো নির্বোধ।
অনেকটা গাধার মতো, প্রেমে পড়ার পর সে হলো
ঘোড়ার মতো ক্ষিপ্ত কিন্তু গাধার স্বভাব পাল্টানো না। প্রেমিকার যতো মান অভিমান অভিযোগ অনুযোগ সবকিছু গাধার মতো বহন করে চলতে লাগলো সে।
প্রেমে পড়ার পর প্রেমিক সত্যি কসাই হয়ে যায়,
নিষ্ঠুর ভাবে প্রেমিক তার চারপাশের যাবতীয় দুনিয়া
হত্যা করতে থাকে। প্রেমিকা সূর্যমুখী ফুলের মতো
বাহবা দিয়ে বলে এইতো তুমি পুরুষ, এইতো তুমি প্রেমিক, কাছে এসো চুমুকে মিটিয়ে দিই প্রেম ঋণ।
প্রেমে পড়ার পর প্রেমিক কসাই না হলে প্রেমিকারা কোন কালেই ফুল হয়ে ঘুমতে পারতো না।
প্রেমিকার চোখের নীচে কালি জমতো, প্রেমিকারা উন্মাদ পাগলের মতো সমুদ্র খুঁজত; একদিন সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করতো।
প্রেমে পড়ার পর প্রেমিক, কসাই হতে হতে সেও ভুলে যায় সে একটা মানুষ, তার বুকে লুকিয়ে আছে সূর্য
অথচ সে জোনাকির আলোর মতো নিভু নিভু করে
জ্বলতে জ্বলতে নীল বেদনার চাদর জড়িয়ে একদিন
ফুরিয়ে যায়।