বৈকালীন শোকগুলো ভেজা পালকের মতো
নেমে আসে পৃথিবীতে,
পাখির মতো যে জীবন পেয়েছিলে,
নিস্তব্ধ বারান্দায় বসে চুল খুলে দিয়ে দূর আকাশে
বেজে উঠে যে গান মেঘেদের পিঠে চড়ে,
সে গান তুমি কি শুনতে পাও, আজও!

চিরুনীর প্রতিটি কাঁটায় বিঁধে আছে যে আত্ম ক্লেশ
পাতার মর্মর শব্দে যা ঝরে যায় প্রতিদিন,
চুলের খোঁপায় স্তরে স্তরে সাজানো ছিলো
যে ব্যথার নির্জন দ্বীপ, আঁখির বারিশনে
সেখানে কি নামে
নোনা স্রোত?

এখন বয়সের ভারে বাতাসও ভারী হলো,
তোমার চারপাশের পৃথিবীর দুয়ারে
ঝুলে আছে ঝাপসা আলো।
এই নির্জন বৈকালীন শোকগুলো আজো কি পত্র দেয়? জানিয়ে দেয়!
কেমন আছে তোমার দূর দেশের পত্র মানব
যাকে ভালোবেসে তোমার দিন ফুরোলো।


হয়তো আজ সে-ও বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছে,
ঝাপসা আলোয় খুঁজে ফিরে বৈকালীন শোকগুলো,
হয়তো তার অনুভবগুলো ক্ষীণ প্রাণ নিয়ে
তাকিয়ে আছে তোমার দিকে হে প্রিয়তমা।

জানি,বয়সের ভারে, ভারী বাতাসে
এই পৃথিবীতে তোমাদের আর দেখা হবেনা।