হাঁটি,

হাঁটতে কোন ক্লান্তি আসেনা।
কবি থেকে কেরানি বা কেরানি থেকে কবি হতে গেলে
ডোরা সাপের মতো শুধু চামড়া পাল্টে নিতে হয়।
সারাদিন কাগজে খসখস শব্দে হিসেব কষি -
নিজের, অফিসের, পৃথিবীর।

এই সময়টায় কোন প্রজাপতি ফুল ভালোবেসে
এ তল্লাটে আসেনা।
এ সময়টায় পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে ফিরে ক্ষুধার্ত হায়েনা।
কোন নরম খরগোশের আকাঙ্খায় বিভোর তাদের ধারালো দাঁত, ছুড়ির অগ্রভাগ।
এ সময়টায় সূর্য ভীষণ উত্তপ্ত!
আর চাঁদ, সে তো, ঝলসানো রুটির মতো লোভনীয়।

এ সময়টায় কবি হয়ে যায় কেরানি,
কেরানি হয়ে যায় নিছক দালাল।
এ সময়টায় চোখের জল রং পাল্টিয়ে
হয়ে যায় লাল, লাল আরো লাল।




দিনশেষে,
মাগরিবের আযান ভেসে আসে।
কেরানি হয়ে যায় কবি, আর কবি হয়ে যায় প্রেমিক।
চারপাশে ঘুরে ফিরে জোনাকি, রাতের পাখি।
চাঁদ ও ঝলসানো রুটি থেকে হয়ে উঠে নর্তকী।



ধীরে ধীরে..
পৃথিবীতে প্রেম নামে,
কবির কাগজে, শাড়ির ভাঁজে আর কিছু সাদা খামে।
এ সময়টা প্রেমের চাদরে ঘুমিয়ে পড়ে শরীর।
নদী ফুটে উঠে মন আর মস্তকে।


কেরানি থেকে কবি কিংবা কবি থেকে কেরানি।
পৃথিবীতে এই দুই চরিত্রই মঞ্চায়িত হয়,
আমরা সবাই জানি, দেখি, কিন্তু বুঝতেই পারি না আমরা কখন কবি হয়ে যাই আবার কখন হয়ে যাই কেরানি।