আঙুরের ঘুম ভেঙে গেলে খসে পড়ে বোটা ছিঁড়ে,
তারপর মদ হয়ে যায় সে শরীর।
পৃথিবী দুলে, দুলে চকচকে চোখে গহীনের নীড়।
আসমানের টনক নড়ে যায়, মেঘে মেঘে শুরু হয় নৃত্য।
তীব্র আলোর ঝলকানিতে উল্লাসিত মদের গেলাস, বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে থাকে পোষা যতো ভৃত্য।
আঙুরের ঘুম ভেঙে গেলে কামের শেষ বিন্দু থেকে নেমে আসে ঘাম,
ধারালো তরবারির মতো ছিঁড়ে ফেলতে পারে নিখুঁত শরীর ও শাদা পায়রার গোপনীয় খাম।
আঙুরের ঘুম ভেঙে গেলে, কোলাহলে পাখি উড়ে যায়।
যে পাখি কারাগার মেনে নিয়ে কারাগারে ঘুমায়,
সে-ও উন্মাদ হয়ে মিছিলে নেমে যেতে চায়।
আঙুরের ঘুম ভেঙে গেলে, কলম তরবারির মতো
বজ্র বেগে কেটে ফেলে কালো কৃশকায় মস্তক।
আঙুরের ঘুম ভেঙে গেলে শেষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে একটি যুবক।
লোকে তারে মাতাল বলে, ভয় পেয়ে ছেড়ে দেয় পথ।
আঙুরের ঘুম ভেঙে গেলে বহুদিন ঘুমিয়ে পড়ে নগরী।
আঙুরের ঘুম ভেঙে গেলে রাস্তাঘাটে আবারো দেখা যায় সেই যুবকের বোতাম খোলা রক্তাক্ত ছবি।