হাতগুলো কেমন জড়তার সমুদ্রে তলিয়ে যায়,
বুকের কাঁপুনি ছিলো আরো আগে থেকেই
ঠোঁটের পারে অস্পষ্ট বেদনা ফুটে উঠতেই
দৃষ্টিসীমা ঝাপসা হতে হতে শিকারী বাঘ
হরিণের পিঠে বিঁধিয়ে দেয় দাঁড়ালো নখের আঁচড়।

এ পোড়া বসতি, ছোপছোপ জোৎস্নার লেলিহান শিখা
এ অসুস্থ জীবন অসুরের গোঁফের মতন কালো বিষন্নতা
এমনটা চাইনিতো আমি কোনদিন, হে বিধাতা!

আমিতো চেয়েছিলাম
জীবন হোক সোনালী ফসলের মাঠ,
বৈশাখী রোদ্দুর পোড়া কিশোরীর হাসি।
শেষ বিকেলে, ঢলে পড়া সূর্যের আলোকিত ইস্কুলে
একসাথে বেঁচে থাকি।
হলোনা! কিছুই হলোনা।

এ ফেরারী জীবনে ভালোবাসা ভুল করে এসে,
চলে গেলো। এতো তাড়া ছিলো ঘাটের নৌকার
সময় হলে যাকে চলে যেতে হয় নদীর ঐ পার।
কিছুই করার ছিলোনা, কি করতাম আমি?
আমিতো জানি, এ ঝড় ক্ষত জীবন শুধুই সয়ে যাবার।