বিদায় বার্তা
আর তোমাকে বিরক্ত করব না ,
আর তোমার সাথে দেখা করব না ,
আর আবদার করে গান শুনতে
চাইবো না ,
আর বলবো না আমার জন্য
কবিতা লেখো ;
আর কখনই বলবো না
গল্প শোনাতে -
এমন সব কথা বলে যায়
বার বার ,
কাঁদে দুহাতে মুখ ঢেকে বনানী
এত অভিমানী চোখের জল রাখে
আড়াল করে ,
বলে -আমি পারি এ জ্বালা সইতে !
পারে বোধয় সইতে সে ব্যাথা ,
যদিও প্রথম -
বেদনায় কেঁপে ওঠে শুধু ছোট
নারকেল গাছ টা l
হঠাত্ কিসের আঘাতে যেন
ছিঁড়ে গেছে তার -
মিলনে নেই আর অধিকার ,
দিয়েছে বিবেকের দোহাই তার বাপে ,
তাই তালা ঝুলে গেছে আবেগের নদীতে ;
তাই তালা ঝুলে গেছে বনানীর
অনুভূতির সিন্দুকে -
জানো পলাশ ,
তোমাকে আমি চাইনা হারাতে ,
কেমন যেন ভীষণ ঝড়ে ভেঙ্গে
ফেলছে আমায় ,
কি জানি কোথা থেকে সব
বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে
আমার উপরে -
ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চায় তোমার বিপরীতে ,
বহুদূরে পলাশ , তোমার বিপরীতে -
তোমার উজানে !
একি তুমি এতো চুপ কেন ?
তোমার চোখে জল ---!
তুমি যদি চোখের জল ঝরাও
আমার দুঃখের শেষ থাকবে বলো ?
এই দেখো আমি তোমার বনানী
তোমাকে জড়িয়ে আছি ,
আর কেঁদোনা ,এই দেখো আমি হাসছি -
তুমি ও হাসো -শুধু একবার হাসো -
দেখে যেতে দাও তোমার ঐ হাসিমুখ ,
যেন আমার বুকভরা যন্ত্রণার দিনে
ঐ টুকুই হয় আমার বেঁচে থাকার ক্ষীণ রসদ !