হুগলী হতে এসেছি আমি-
"এ বঙ্গমাতার টানে" ।
আমি মুর্শিদাবাদ বাবলা হতে-
"মা" ডাকটি মধুর আমার যায় কি সেটা ছাড়া?
মানিকগন্জ জেলা, পারিল বলধারায় জন্ম-
"জন্মেছি মা এই মাটিতে মরণ কালে পাই যেন তোর ছোয়া"।
দাগন ভু্ঁইয়ার লক্ষনপুর
"মায়ের মুখের হাসি আমার সুমধুর"।
বর্মা ফেরত পাঁচাইর গফরগাঁও-
"বাংলা ভাষায় মাকে ডাকি"।
মা ডাকটি ছারা কেমনে বাঁচি?
রাত পোহালো ভোর হলো-
সূর্য বুঝি আলোটা বারিয়ে দিলো।
সবাই চলছে -
"আবাই "চলছে সমুখ্যপানে।
কি হলো?
কি হলো?
হুর মুরিয়ে চলছে সবাই
"রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই"
১৭ নম্বর রুমের পূর্বে
মগজ গেল ছিটকে,
১২ নম্বর শেডের নিচে;২০/৮ রুমের সামনে লাল রক্তে ভাসিয়ে দিলো।
ঐ হায়েনার দল।
মায়ের ভাষার তরে দিলো যারা প্রান।
তোমাদের তরে বিনম্র শ্রদ্ধা সহস্র।
রফিক,শফিক,সালাম,বরকত,জব্বার তোমরাই বাঙ্গালীর গর্বিত সন্তান।
সাক্ষি সেদিন ছিল -
২১শে ফেব্রুয়ারী,৮ই ফাগুন,
তোমাদের রক্তে আঁকা
পলাশ শিমুল।
হে শহীদেরা!
যত কবিতা ,ছড়া আর গল্প বাংলায় তোমরাই করেছো দান।
"তোমরাই বাংলা আমার, বাঙ্গালিই মহান"।।