অবেলায় ভাবি
মোমিনুল হক আরাফাত
সবি সত্য অস্বীকার করে,
জীবন তো গেল বিপলে আমার।
হারিয়েছি আমি!
হারায়নি শুধু তোমায়-
নিজের কাছেও নিজেকে,
বিক্রি করেদিয়েছি বহু আগে।
আজ চিৎকর করে বলতে চায়;
শোন পৃথিবী!
আমি ভালবেসেছি তাকে,
আমি আজো খুঁজি ফিরি তারে।
কখনো তুমি বুঝতে চাওনি আমায়,
আমি বুঝতে পারিনি তখন;
তোমায় এতটা বেসেছি ভাল।
যদি জানতাম কভু;
এতটা বেসেছি ভাল,
তবে কভু হতে দিতাম না আঁড়াল।
আমি বুঝেনি তখন; তাই খুঁজিনি তখন,
আজ বুঝি তবু খুঁজি না তোমায়,
অবাক হওয়ার কিছু নাই।
আমি তো নির্বাক।
বলর মতো কিছু ছিল না বাকি,
ভালবাসি ভাললাগে তোমায়,
কী হবে বলে আর?
ভালবাসা সে তো মরিচিকা,
ভালবাসা সে তো স্বপ্ন মাত্র,
ঘুমের ঘোরে তোমায় দেখেছিলাম,
মিছে-মিছে স্বপ্ন দেখেছিলাম
এঁকে ছিলাম আলপনা,
করেছিলাম কল্পনা,
সময়ের সাথে সবি বিলীন হয়ে গেল,
শুধু রয়ে গেল আহত বুকে,
জান! তোর নাম।
আমি ভেবে ছিলাম, আমি কথা দিয়েছিলাম,
কবিতা তোমায় ভুলে যাব,
কবিতা মুছে দিবে এ হৃদয় থেকে তোরি নাম,
গাইব না কভু তোরি গান।
তাইতো হয়ে ছিল।
তোকে বিদায় দিয়ে;
যন্ত্রণাকে করেছিলাম সঙ্গি।
কখনো ভুলেও যেতে পারি নাই কাছে,
এখনো বলতে পারি নাই,
তোরি নীল চোখ দেখে-দেখে,
লিখেছিলাম কত শত কবিতা।
সবি বিপলে গেল, সবি মিথ্যা হলো
আমি তো কবি না,
আমায় তুই দিয়ে ছিলে কবিতা,
তাইতো তোকে হারিয়ে আর লিখা হয় না।
সে ৯ তে প্রথম দেখা,
১১ তে হয়েছিলাম পাগল,
তোরি রূপের,
১৪ তে দিয়েছিলাম বিদায়।
মনে হলো সবি ভুলে আমি,
নিজেকে নিয়েছি গুছেয়ে,
এখন তো অনেক বড়,
করি না কোন অসভ্য,
কবিতার খুঁজি ছুটি না বিলের ধারে,
নয়তো ডলুর তীরে।
তাকে তো দিয়েছি বিদায়,
বলছি মনকে, সে নয় আমার,
আজ কেন আবার দেখা দিলি?
আজ কেন আবার ঘুমন্তু মনকে জেগে দিলে?
কত শত আগুন এ বুকে রেখেছি চেপে,
কেন আবার জ্বালিয়ে দিলে?
নিজেকে হারিয়েছি বহু আগে,
মানুষ হওয়ার স্বপ্নও দেখি না আর,
তোকে কাছে পাওয়ারও স্বপন নাই এ বুকে,
কোন স্বপ্ন নাই এ বুকে।
কেন চিৎকার করে বলতে আজো ইচ্ছা হয়?
কবিতা তুই আমার! তুই শুধু আমার,
কবিতা!!
নিশ্বাস থেমে যায় কেন তোমায় ভেবে?
কবিতা নিশ্বাস আমার দে ফিরেয়ে;
এমনো বলি না।
নিশ্বাস আমার নে কেঁড়ে,
থাকিতে চাহি না তোকে বিনা এ জগতে,
দেখিতে চাহি না তোকে ছাড়া আর কিছু,
ভালবাসার ভাললাগার প্রতিক্ষণে,
জড়িয়ে রেখেছি তোমায়,
তবু কেন হলে না কবিতা আমার?
৬ ফাল্গুন ১৪২৩ বাংলা,
১৮-২-২০১৭ ইংরেজি