বৃষ্টির ভিতর দুজনে দৌড়ে এসেছি
এই বৈশাখীর দোকানে -
জোলো হাওয়া আর দমকা বিদ্যুতে আজ লুচির গন্ধ ।
ওদের সবাইকে আমরা চিনি,
তবু ওরা কেউই চিনতে পারেনি, আমাদের ।
ভিজে চুল আর খোলা পিঠে, - তখন তুই নদীর মত
পাহাড়-ঝরা ঢেউ ।
আমিও গরম চা-য়ে চুমুক দি,
আধ পোড়া জিভ নিয়ে,
খুঁজে দেখি একটা দুটো, চেনা মুখ -
জ্বলন্ত কড়ার পাশে কেউ হাসিমুখে কী যেন বলল ? –
বজ্রপাতে, শোনা গেল না ।
দৌড়ে কেউ ছাতা ছাড়া পড়ি মরি চলে গেল , কোনদিকে ?
ঝাপসা তে, দেখা গেল না ।
উদ ভ্রান্ত ভিজে কাকের মত ঘসছি, ঠোঁট -
আর তুই, তখন-ই, -
“ নে, ধর “ ।
চেয়ে দেখি , দু-হাতে তোর,
ধোঁয়া-ওঠা কচুরী র স্তূপ !
ধোঁয়ায় উড়তে থাকে, -
ভাজা গন্ধ , গোলমরিচ,
ঠোঁটের-লাগা আলুর ঝোল, -
আর একের পর
এক
মোটা চশমা, ভাঙা ছাতা, -
আধ-খোলা বই, আর ,-
দু-হাজারের দুপুর,
১৫ই সেপ্টেম্বর, নিরানব্বই,
আটানব্বই, শীত কাল,
সাদা শাড়ি নীল পাড় , আর
কুয়াশা ঢাকা , - তুই ।
ে