বাংলাদেশের চৌষট্টিটি জেলার মাঝে
আছে টাংগাইল জেলার একটি নাম,
সেই জেলাতে রয়েছে কালিহাতি থানা
তার প্রবেশ মুখেই এলেংগা আমার গ্রাম।
পুলিশ ফাঁড়ি রেলষ্টেষন কল কারখানা
আরোও আছে হোটেল রিসোর্ট বিরতি,
চিত্তবিনোদনের সুটিং চলে সবসময়
রিসোর্ট উদ্যানে দিবানিশি রাত্রি।
সরকারি আধা-সরকারি প্রাইভেট ব্যাংক
হাসপাতাল ক্লিনিক এনজিও প্রতিষ্ঠান,
কোন কিছুর অভাব নেই আমার এলেংগায়
সেবার ক্ষেত্রেও দিয়ে যাচ্ছে উন্নত মান।
প্রাইমারি কেজি গার্লস স্কুল হাইস্কুল
আরোও আছে মহিলা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়,
শিক্ষার আলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে
আমার এলেংগার এসব পাঠ্যালয়।
দিঘলাপাড়া কুড়িঘড়িয়া পাথাইলকান্দি
রাজাবাড়ি মর্সিন্দা চেঁচুয়া চিনামুড়া,
মশাজান বানিয়াবাড়ি বাঁশিগ্রাম মিলে
প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এলংগা পৌরসভা।
দিন বদলের পালার সাথে সাথে
পৌরসভার হয় মেয়রের রদবদল,
উন্নয়নের ধারাও এগিয়ে চলে ভালভাবে
কোথাও হয়না কারোও সাথে গন্ডগোল।
উত্তর বঙ্গের সকল গাড়ির যাতায়াত
দুরপাল্লায় চলে বুকের এলেংগায়,
যমুনা নদীর শাখাও বয়ে গিয়াছে
আমার পৌরসভার ঘেঁসে গাঁয়।
মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষাবিদ অর্থনীতিবীদ
সবাই আছেন আমার গ্রামে,
সকল ক্ষেত্রেই এগিয়ে আছে
আমার এলেংগা বাংলাদেশের শুনামে।
এ গ্রামে জন্মেছিল বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র বাবু
আজও রয়েছে তার জমিদার বাড়ি,
দুরপ্রান্ত হতে ছুটে আসেন এখানে
দেখতে হাজারো পুরুষ নারী।
মায়া আর মমতায় ভরা আমার গ্রাম
সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামল,
দুচোখ জুড়িয়ে যায় দেখলে একবার
তাই সর্বক্ষন অস্থির মন আমার ব্যাকুল।