কুরআনের পাখি
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন
দ্বীন প্রচারে ছিলে অকুতোভয়
মানুষ পেত সঠিক দিশা,
তোমার পরশ পেয়ে মুসলমান
জ্বালাত প্রলয় শিখা।
স্বপ্ন ছিল দ্বীনি সমাজ গড়ার
শত্রুরা হতে দিল না,
জেলে পুরিয়ে রাখল অবিচারে
তোমায় মুক্তি দিল না।
দীর্ঘ সময় কষ্ট দিল তিলে তিলে
সহিয়া রইলে সদা,
তবুও কাউকে বদদোয়া দাও নি
হে মমতাময় প্রিয়কণ্ঠা।
ভালোবাসা দিয়েছো সারাজনম
সবাইকে করেছ আপন,
আল্লাহর শত্রুরা করতে দিল না
সঠিক জীবন যাপন।
বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে এসে
হাসি দিয়ে ভরালে প্রাণ,
ভক্তরা কেউ বুঝতেই পারেনি
হবে জীবন অবসান?
বিস্ময়ে হতবাক কি হতে কি হলো!
বহিয়া গড়ালো অশ্রুবান!
সত্যের জন্য করিলে আমৃত্যু লড়াই!
অবশেষে জীবন কুরবান!
জানাজা নিয়ে শত্রুরা নানা প্রহসন
করিল জনতার সাথে,
মুছতে পারেনি একবিন্দু ভালোবাসা
কী হয়েছে তাতে?
বিপুল মানুষের অংশগ্রহণে প্রমাণিত
তুমি একদম নির্দোষ,
যারা বিচারের নামে অবিচার করিল
তাদেরই হইল দোষ!
একদিন এই অবিচারের বিচার
করিবেন রাজাধিরাজ,
সেদিন কারো কোনো কথা চলবে না
দুনিয়ায় যারা করে রাজ?
আজাব দিবেন আহকামুল হাকীম
থাকবে না তাদের দাম!
ক্ষমা পেয়ে তুমি হবে মহা খুশি
তাদের জন্য জাহান্নাম!
মনসুরাবাদ, ঢাকা।
১৫.০৮.২০২৩