হিংসুটে

হিংসুটে মনোভাবে কুৎসিৎ শব্দে
কেউ কেউ লেখে কবিতা
নিজেই নিজের বিরুদ্ধে লিখতে থাকে
দেখায় নানান ভণিতা।

নিজেকে নিজে বড়ো মনে করে
না জানি কত কিছু!
আলটিমেটলি, ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য ঘুরে
অন্যের পিছু পিছু।

নানা রটনা রটিয়ে বাহ্ বা কুড়ায়
ব্যাঙের মতো ফুলতে থাকে,
'অল্প বিদ্যা ভয়ংকরি', বিষাক্ত ছোবলে
তারা গালি দেয় যাকে তাকে।

গীবতের মতো মহাপাপ করে
পবিত্র কলমের ডগায়,
ষঢ়রিপুর প্ররোচনায় মন্দতে জড়িয়ে
নিজেকে শুধু ঠকায়।

কলম কালি কাগজ বানালেন যিনি
তাঁকে কিছুতে নাহি ডরায়
শেষ বিচারের দিনে কেউ নয় আপন
কে আসবে তারে রক্ষায়?

একাল সেকাল ভাবতে ভাবতে
মাথার চুলগুলো পাকায়,
পরের উপকারে কিছুই তো করে না
তেল দেয় নিজের চরকায়।

মানুষ মানুষের জন্য এটাই হোক
মানবতার আওয়াজ,
অন্যের পিছে বুদ্ধি না খাটিয়ে, হও
কল্যাণকামী আজ।

যারা সামনে পিছনে পরচর্চা করে
তাদের জন্য আছে ধ্বংস,
তাওবা না করলে নরকের বাসিন্দা হবে
পাবে না স্বর্গের অংশ।

কল্যাণপুর, ঢাকা।
০৯-জানুয়ারী-২০২৩
২৫-পৌষ-১৪২৯
১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৪