ঘুষ
অতি লোভে লালসার ফাঁদে
যারা একবার পড়ে,
ন্যায্য কাজেও তখন তারা
ঘুষ সাম্রাজ্য গড়ে।
সেবা প্রাপ্তরা সেবা নিতে যখন
সেবাদাতার কাছে যায়,
সেবাদাতা সেই সেবা দিতে
ঘুষ নামে খ’রাত চায়।
টপ টু বটম রাঘব বোয়াল
কেউ থাকে না বসে,
দাতা ও গ্রহীতা সমানতালে
ঘুষের মাঠ চষে।
কেউবা আবার বাধ্য হয়ে
এই কাজে হয় যুক্ত,
নইলে তাদের ন্যায্য কাজটি
হয় না পাকাপোক্ত।
এরা অসহায় নিরীহ জনতা
প্রান্তিকতায় বন্দি,
ভয়ংকর এক ছড়ি ঘুরিয়ে
বিনিময়ে করে সন্ধি।
আবার কেউ প্রভাব খাটিয়ে
ঘুষ বানিজ্য করে,
নীতি নৈতিকতা মাটি দিয়ে
ঘুষেতে পেট ভরে।
এ কাজে জড়িতরা অভিশপ্ত—
ডাস্টবীনের কীট,
তারা উভয়ে পেটে ঢুকায়
পোড়া অনল হীট।
দরদি কবি আহবান করে
দ্রুত বন্ধ করো ঘুষ,
মরণের আগে তওবা করতে
ফিরিয়ে আসুক হুঁস।
২৩.০৬.২৪