আয়নাঘর
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন

আয়নাঘর নামক বন্দীশালায়
যাদেরকে হলো রাখা,
বিভৎস সেই কাহিনী শুনে শুনে
চিত্ত হলো কষ্টেমাখা।

নিষ্ঠুর অমানবিক জ্বালাতন সয়ে
ছিলো কবরসম ঘরে,
মুক্ত হয়ে আসলো বলে মূল ঘটনা
সবাই জানতে পারে।

মানুষ মানুষের সাথে এমন আচরণ
কিভাবে করতে পারে?
তারা মানুষ নাকি হিংস্র হায়েনা পশু
খুব জানতে ইচ্ছা করে?

গা শিহরিত ছমছম করা মনটা যে
শান্ত হয় না কিছুতেই,
অশ্রু মাখা চক্ষু যুগল ছলছল করে
নির্মম ঘটনা ভাবলেই।

হারানো মানুষ ফিরে এলে সত্যিই
আনন্দেরি বান বয়ে,
ভালোবাসা সব প্রবাহিত হয় আহা
সে মানুষটিকে লয়ে।

যারা আয়নাঘর বানালো তাদের
দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই,
আর কেউই যেন স্বৈরাচারী হয়ে
করতে না পারে বড়াই!

আমান আযমী ব্যারিষ্টার আরমান
যারা ছিল সে আয়নাঘরে,
দোয়া প্রেম ভালোবাসা আর রইলো
শুভকামনা তাদের তরে।

এসব জানা সত্ত্বেও যারা বলে বেড়ায়
আগেই তো ছিলো ভালো,
বুঝতে হবে এরাই হলো অবিবেচক
গভীর আঁধার কালো।
১৭/০৮/২০২৪