ছোট থেকে শুনে আসছি
'নরসুন্দা' এই নদীটির নাম।
সুপ্ত এ নদীর তীরে
অবস্থিত কোমল দুটি গ্রাম।
দক্ষিণে মরিচখালী স্থিত
এবং উত্তরে আশতকা,
পূর্ব-পশ্চিমে গিয়ে নরসুন্দা
পেল অন্য গ্রামের দেখা।"
নদীর উত্তরে সুগম পথ,
ছিল পথিক হওয়ার ঝোঁক।
দক্ষিণ তীরে বাঁশ বাগান
কেড়ে নেয় পর্যটকের চোখ।
প্রকৃতির মনোহর-মনোরম
এমনি সব লোকালয়ের মাঝে,
বর্ষা এলে নদী নরসুন্দা
এক নতুন রূপে সাজে।
প্রতিদিন সূর্যোদয়ের পরে
বসি নরসুন্দার তীরে গিয়ে,
মাঝিগণ পাল বিহীন
নৌকা চালায় দাঁড়-বৈঠা দিয়ে।
দুপুরবেলা বাঁশ বাগানে আসে
গাংচিল আর সাদা বকের দল,
শিশু-কিশোরেরা
নাইতে গিয়ে করে কোলাহল।
বিকালবেলা নরসুন্দার বুকে
দিবাকরের স্নিগ্ধ আলো পড়ে,
মানুষজনকে মুগ্ধ করতে
নদীটা ভিন্ন একটি রূপ ধরে।
বাতাস হলে কি যেন সে বলে
সৃষ্টি করে কলধ্বনি,
নরসুন্দার মনের কথা
নাহিকো মোরা জানি।