একাত্তরের পঁচিশ মার্চে পাকসেনা দেয় হানা
ঘুমের মধ্যে বাঙালিদের করলো খন্দ-খানা।
উজাড় করলো ঢাকা শহর গভীর-নিশুত রাতে
লক্ষ লোকে প্রাণ হারালো তাদের হিংস্র হাতে।
হত্যা করলো বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও নেতা
বন্দী করলো সেসব মানুষ যাদের রক্ত চেতা।
ধ্বংসলীলায় স্তব্ধ আকাশ, স্তব্ধ যখন দেশ
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাকে সৃষ্টি হলো রেশ।
উঠলো জেগে বীর বাঙালি অস্ত্র নিল হাতে
হিংস্র ঐ পাকসেনারা দেশ ছেড়ে যায় যাতে।
অস্ত্র নিল ছাত্র-তরুণ, খামার - তাঁতি - জেলে
অস্ত্র নিল লক্ষ শ্রমিক কারখানার কাজ ফেলে।
এক হয়েছে কৃষক-শ্রমিক, হিন্দু-মুসলিম সবে
মোদের প্রিয় বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে হবে।
পাকসেনারা আগুন দিলো পুড়লো লোকের বাড়ি
নির্যাতন আর নিষ্ঠুরতায় শহীদ হাজার নারী।
অনেক মানুষ মারলো তারা বুলেট-বোমার ঘাতে
ভেবেছিলো বাঙালি জাত কাবু হবে তাতে।
কিন্তু তারা দেখতে পেল, বাঙালিরা বীরই ছিলো,
স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধে গেল অস্ত্র দিয়েই জবাব দিলো,
রুখে দিল হিংস্র বারুদ জীবন বিলীন করে,
ধন্য হলো বীরের জীবন দেশের জন্য মরে।
যুদ্ধে গেল বৃদ্ধ-কিশোর, যুদ্ধে গেল নারী
তাদের দিকেও হিংস্র-পাকে বুলেট দিল ছাড়ি।
থমকে দিল বুলেট-বোমা জীর্ণ করে বক্ষ
দেশের তরে জীবন দিয়ে শহীদ ৩০ লক্ষ।
দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী এমন যুদ্ধের পর
বাংলাদেশের বিজয় হলো ১৬ই ডিসেম্বর।