দিঘির পাড়ে দাঁড়িয়েছিল দিঘাবতী
আমি বুঝিনি তার কি যে মতিগতি।
হঠাৎ উঠলো সে দিঘি পাড়ের পেয়ারা গাছে
তারপর দুটো পেয়ারা ছুঁড়লো আমার দিকে।
একটি লাগলো পেটে অন্যটি ঠিক মাথায়
বাবাগো বলে কুঁকড়ে পড়লাম ব্যাথায়।
নামলো সে গাছ থেকে,
ঘঁৎ ঘঁৎ করে ছুটলাম তার কাছে।
সু-উ-উ করে তুললো সে আঙ্গুল মুখে
তারপর দেখালো আমার পিছে।
ভাবলাম পিছনে হবে হয়ত মস্ত কেউ
ঘাড় ফিরিয়ে দেখি চিহ্ন নেই মানব জনেও।
যখন ফিরালাম ঘাড় দিঘাবতীর দিকে
গেছে সে দুরে, চেহারা হয়েছে ফিকে।
শুধু এইটুকু মনে আছে
যখন ডাকলাম তাকে কাছে,
দেখি বেনী দুটো তার পিছনে দুলছে জোরে
আর বুড়ো আঙ্গুল নড়ছে কদলীর মত করে।
ফিক্ ফিক্ করে সে দিল হেসে
কি জানি কি তখন বুঝালো শেষে।
ভাবলাম আবার যাক তাকে ডাকা,
তখন বললো সে, তুমি একটা হাঁ-দা।
আমি আজও বুঝিনি সে কথার মানে,
দেখি এখন এর অর্থটা ক’জনে জানে।
মোঃ মজিবুর রহমান
৩১-০৩-২০১৫ ইং।